৪০ কোটির ঋণখেলাপি! বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই মিলল প্রচুর ব্ল্যাঙ্ক চেক
সদ্য পঞ্জাবে ক্ষমতায় এসেছে আম আদমি পার্টির সরকার। আর তার মধ্যেই বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা। বিধায়কের বিরুদ্ধে উঠেছে মারাত্মক অভিযোগ। শনিবার যশবন্ত সিং গজ্জন মাজরা নামে ওই বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকেরা যান তল্লাশি
সদ্য পঞ্জাবে ক্ষমতায় এসেছে আম আদমি পার্টির সরকার। আর তার মধ্যেই বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা। বিধায়কের বিরুদ্ধে উঠেছে মারাত্মক অভিযোগ। শনিবার যশবন্ত সিং গজ্জন মাজরা নামে ওই বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকেরা যান তল্লাশি করতে। ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার ব্যাংক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
তাঁর বাড়ি সহ পঞ্জাবের সাঙ্গরুরের মোট তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে এ দিন। ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় সেই প্রতারণার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এফআইআরে। ৪০.৯২ কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে বিধায়কের।
অভিযোগ, ওই বিধায়ক ঋণখেলাপি করেছেন। এ দিন তল্লাশি চালাতে গিয়ে মোট ৯৪ টি ব্ল্যাঙ্ক চেক উদ্ধার করা হয়েছে। একেকটিতে একেক জনের স্বাক্ষর ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেগুলির সঙ্গে আধার কার্ডও ছিল। সিবিআই-এর মুখপাত্র আরসি যোশী জানিয়েছেন ১৬.৫৭ লক্ষ টাকা নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে ৮৮ টি বিদেশি মুদ্রা, কিছু সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য। ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কথা অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। লুধিয়ানায় ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। বিধায়ক যশবন্ত সিং গজ্জন মাজরার পাশাপাশি তারা কর্পোরেশন লিমিটেড নামে এক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ওই সংস্থার ডিরেক্টরদেরও জেরা করা হয়েছে। একসময় ওই ফার্মের ডিরেক্টর তথা গ্যারান্টার ছিলেন ওই বিধায়ক। বিধায়কের ভাই বলবন্ত সিং ও কুলবন্ত সিং, ভাইপো তেজিন্দর সিং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এফআইআরে রয়েছে তারা হেল্থ ফুড লিমিটেড নামে অপর একটি সংস্থার নাম।
জানা গিয়েছে ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে পরপর চারবার ঋনের অনুমোদন পেয়েছিল অভিযুক্ত সংস্থা। কিন্তু সেই ঋণ ঠিক মতো শোধ হয়নি। যার ফলে ব্যাংকের ৪০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি। আর সেই অভিযোগর ভিত্তিতেই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।
অন্যদিকে ব্যাঙ্ক প্রতারণার বিষয়টা সামনে আসতেই প্রথমে অ্যাকাউন্টটিকে এনপিএ বা নন পারফর্মিং অ্যাসেট হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০১৪ সালের মার্চ মাসেই এনপিএ হিসেবে ঘোষণা করা হয় অ্যাকাউন্টটিকে। পরে ২০১৮ সালে প্রতারণার অভিযোগ আনে ব্যাংক। একদিকে যেমন ঋণের টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, সেই সঙ্গে ব্যাংকের দাবি, যে কাজের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছিল, সেই কাজে ব্যবহার করা হয়নি।