সাম্প্রদায়িক দোষে দুষ্ট ভারপ্রাপ্ত সিবিআই প্রধান! নয়া অভিযোগে ফের বিতর্কে মোদী সরকার
যাঁকে সিবিআই-এর অন্তর্বর্তী প্রধান পদে বসানো হয়েছে, সেই নাগেশ্বর রাও-ও কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের আলোয় এসে পড়েছেন।
এখনও পর্যন্ত সিবিআই নিয়ে যে ঝড় চলছে তা মূলত ছুটিতে পাঠানো প্রধান অলোক বর্মা এবং পদাধিকারে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাকেশ আস্থানার মধ্যে। কিন্তু যাঁকে অন্তর্বর্তী প্রধান পদে বসানো হয়েছে, সেই নাগেশ্বর রাও-ও কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের আলোয় এসে পড়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও উঠছে নানা অভিযোগ।
বিরোধীদের অভিযোগ, নাগেশ্বর রাও-এর বিরুদ্ধে পরিষ্কার কোনও রেকর্ড নেই।
স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ছাড়াও, নাগেশ্বর রাও-এর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে। এমনটাই রিপোর্ট করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম। বছর কুড়ি আগে এই মন্তব্যে জেরে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালের এক মন্তব্যের জেরে ওড়িশা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সিপিএম নেতা কিশোর পট্টনায়েক।
আদালতে করা আবেদনে, সিপিএম নেতার অভিযোগ ছিল, ওই আইপিএস বলেছিলেন, ইসলামপন্থী, খ্রিস্টান আর মার্কসবাদীরা মানবাধিকারের পক্ষে হুমকির সমান। তিনি নাকি আরও বলেছিলেন, ভারতীয় সংবিধান প্রণেতারা সংখ্যালঘুপন্থী।
১৯৯৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় নাগেশ্বর রাও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সময় তিনি বেরহামপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিউমেনের তরফে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই সময় বেশ কয়েকজন নাগেশ্বর রাওয়ের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন।
তৎকালীন যুব নেতা আলি কিশোর পট্টনায়েক জানিয়েছেন, সেখানে একটি মিটিং-এ উপস্থিত ছিলেন তিনি। এক আইপিএস অফিসারের বক্তব্যে যথেষ্টই আঘাত পয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। নাগেশ্বর রাও-এর বক্তব্য প্রকাশ করেছিল স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যম। যদিও সেই সময়েই সংবাদ মাধ্যমে ওঠা নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নাগেশ্বর রাও। এই নিয়ে বিতর্ক পৌঁছে গিয়েছিল ওড়িশা বিধানসভাতেও।
তৎকালীন বিরোধীদের মধ্যে এনিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সিপিএম নেতা আদালতে আবেদন দাখিল করেছিলেন। এরপরেই এনিয়ে দুটি তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। একটি পুলিশের তরফ থেকে। অপরটি আয়কর আধিকারিকের তরফ থেকে।
এই ঘটনার পরেই ওই অফিসারকে কটকের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ায় জনস্বার্থ মামলা নিয়ে আর এগনো যায়নি বলে জানিয়েছেন সিপিএম নেতা আলি কিশোর পট্টনায়েক। তবে সিবিআই-এর অন্তর্বর্তী প্রধান হিসেবে বিতর্কের কেন্দ্রে চলে আসায় ফের বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার চিন্তা করছেন ওই নেতা। আদালত খুললেই বিষয়টি নিয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনিয। কটকের আইনজীবীরা গত মাসখানেক ধরে ধর্মঘট চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
এ সম্পর্কে নাগেশ্বর রাওয়ের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।