সিবিআই জুজু : ফের একসুরে কেন্দ্রের বিরোধিতায় সোচ্চার মমতা-কেজরিওয়াল
নয়াদিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর : জাতীয় রাজনীতিতে অবিজেপি শক্তিগুলির কোনও জোট হবে কিনা তা সময়ই বলবে। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গলার সুর মিলেমিশে একাকার। সৌজন্যে প্রত্যক্ষে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার ও পরোক্ষে সিবিআই।
এদিন কেজরিওয়ালের দফতরে সকালে হানা দেয় সিবিআই। এমনকী দফতর সিল করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী দফতরে এভাবে হানা নজিরবিহীন ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রপুষ্ট বলে সকাল থেকেই দিল্লিতে ও এমনকী সংসদেও সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
এই ঘটনায় সরাসরি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারে দিকে আঙুল তুলেছেন আপ নেতারা। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিকভাবে তাঁদের মোকাবিলা না করতে পেরে এই ধরনের কাপুরুষোচিত কাজ করছেন।
ঘটনা হল, স্বেচ্ছাবসরের পর দিল্লি সরকারের বেশি কিছু প্রাক্তন আধিকারিক একটি সফ্টওয়্যার কোম্পানি খোলেন। ওই কোম্পানিকে নিয়মবহির্ভূত ভাবে কন্ট্রাক্ট পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেজরির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেন্দ্র কুমারের বিরুদ্ধে। সম্ভবত সেই কারণেই এদিন তল্লাশি অভিযান চলেছে।
গোটা ঘটনায় তাদের কোনও হাত নেই একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু, অরুণ জেটলি সকলেই এই ব্যাপারে সাফাই দেন। তবে সেসব শুনতে নারাজ আপ নেতৃত্ব।
আর এই সুযোগের ফায়দা তুলে তৃণমূল সুপ্রিমো সিবিআই তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছেন। মমতা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সিল করে দেওয়া নজিরবিহীন ঘটনা। এমন ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত। জবাবে কেজরি জানিয়েছেন, এমন ঘটনা জরুরি অবস্থার শামিল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সারদা তদন্তের সময়ে সিবিআই নিয়ে বারবার পক্ষপাতমূলক আচরণের কথা বলে এসেছে তৃণমূল। তাঁদের চাপে ফেলতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কৌশলে সিবিআইকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করছে বলে দাবি তৃণমূলের। সেক্ষেত্রে সারদা মামলায় যেভাবে একেরপর এক দলীয় নেতা-মন্ত্রীকে ডাকাডাকি করা হচ্ছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত। এখন দেখার সিবিআই জুজু আর কাদের ভয় দেখায়।