দুর্ঘটনার একমাস পরে উন্নাও নির্যাতিতার বয়ান নিল সিবিআই
ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। কোমায় চলে গিয়েছিলন। সুস্থ হতে প্রায় ১ মাস লেগে গেল। সেই ঘটনায় মুখ পুড়েছিল যোগী সরকারের।
ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। কোমায় চলে গিয়েছিলন। সুস্থ হতে প্রায় ১ মাস লেগে গেল। সেই ঘটনায় মুখ পুড়েছিল যোগী সরকারের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় এখন তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সেই দুর্ঘটনার এক মাস পর উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বয়ান নিল সিবিআই।
সিবিআইকে বয়ান দিলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা
বরেলি যাওয়ার পথে তাঁর গাড়িকে পিষে দিয়েছিল ট্রাক। আশঙ্কা জনক অবস্থায় প্রথমে লখনউ এবং পরে দিল্লির এইমসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়েছিল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার। জ্ঞান ফিরতেই সিবিআই বয়ান নিল তাঁর। এখনও দিল্লির এইমসের চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯ বছরের তরুণী। হাসপাতালের বেডে শুয়েই তদন্তকারীদের সেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার বয়ান দিলেন তিনি। সূত্রের খবর তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছেন, সেদিন সন্দেহজনক গতিবিধি ছিল ঘাতক ট্রাকটির। তাঁর আইজীবী গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। তিনি দ্রুত গতিতে আসতে থাকা ট্রাকটিকে এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। অনেকটাই রিভার্স গিয়ার দিয়ে পিছিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ট্রাকটি যেন তাঁদের টার্গেট করেই ধেয়ে আসছিল। গতি নিয়ন্ত্রণের কোনও চেষ্টাই করেননি চালক।
পরিবারের দাবি ধর্ষণের অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কই দুর্ঘটনা করিয়েছেন
উন্নাওয়ে নির্যাতিতার পরিবার আগেই দাবি করেছিলেন, এই দুর্ঘটনা একেবারেই পরিকল্পিত। মূল অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেনগারের নির্দেশেই নির্যাতিতাকে প্রাণে মেরে ফেলতে এই দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কিন্তু বরাত জোরে নির্যাতিতা ও তাঁর আইনজীবী বেঁচে গিয়েছেন। মারা গিয়েছেন নির্যাতিতার তিন কাকিমা। দিল্লির এইমস হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে আইনজীবীরও।
সুপ্রিম কোর্টে পরিবার
দুর্ঘটনার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েিছলেন নির্যাতিতার পরিবার। যদিও আগেই প্রধানবিচারপতিকে চিঠি লিখে নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই তৎপর হয় শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গৈগৈয়ের নির্দেশেই হেলিকপ্টারে নির্যাতিতা এবং তাঁর আইনজীবীকে দিল্লির এইমসে উড়িেয় আনা হয়। এমনকী ধর্ষণের ঘটনার যাবতীয় মামলা লখনউ থেকে সরিয়ে দিল্লিতে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে ৪৫ দিনের মধ্যে মামলার শুনানি শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।
তারপরেই তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। জ্ঞান ফিরতেই সোমবার আগে নির্যাতিতার বয়ান নিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই নির্যাতিতাকে ২৫ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানবিচারপতি। একইসঙ্গে তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি কাজ হারাচ্ছেন, বলছে রিপোর্ট]
[আরও পড়ুন: ছেলেধরা সন্দেহে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে গণপিটুনি, হইচই দিল্লিতে]