রায়ান স্কুল কাণ্ডে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, গ্রেফতার হতে পারেন ৪ পুলিশকর্মী
গুরগাঁও-এর রায়ান স্কুলের প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ। যার জেরে বাস কন্টাক্টরকে গ্রেফতার হয়। ঘটনায় সিবিআই এবার পুলিশকর্মীদের গ্রেফতার করতে পারে
গুরগাঁও-এর রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ। যার জেরে বাস কন্টাক্টরকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় সিবিআই এবার পুলিশ কর্মীদেরই গ্রেফতার করতে পারে।
তবে কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল কিনা, কিংবা বাস কন্ডাক্টরের কাছে পরিকল্পনা করেই হাতে ছুরি তুলে দেওয়া হয়েছিল না, নাকি কর্তব্যে গাফিলতি তা খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই।
গুরগাঁও পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের চার সদস্য সিবিআই স্ক্যানারে রয়েছে। তাদের মোবাইল কলও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৮ সেপ্টেম্বর প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে হত্যা করা হয়। চব্বিশ ঘণ্টায় মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের বাধা দেওয়ার খুনের অভিযোগ আনে। গুরগাঁও পুলিষের তদন্তে সন্তুষ্ট হতে পারেনি প্রদ্যুম্ন-র পরিবার। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন প্রদ্যুম্নর পরিবার। হরিয়ানা সরকারও ঘটনার তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেয়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রদ্যুম্নকে যৌন নিগ্রহের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এমাসের শুরুতেই সিবিআই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে গ্রেফতার করে। সিবিআই অভিযোগ করে, স্কুলে পরীক্ষা পিছিয়ে দিতেই ওই ছাত্র খুন করেছিল প্রদ্যুম্নকে। একইসঙ্গে বাস কন্ডাক্টর অশোককেও নির্দোষ বলে জানায় সিবিআই।
সূত্রের খবর, তদন্ত চলাকালীন, সিবিআই গুরগাঁও-এর রায়ান স্কুলের একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রকে একটি দোকানে নিয়ে যায়। যেখান থেকে সে ছুরিটি কিনেছিল বলে অভিযোগ।
যদিও নিজের ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ছাত্রের বাবা। এই মুহূর্তে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রকে রাখা হয়েছে ফরিদাবাদের কারেকশনাল হোমে। আগামী ২২ নভেম্বর ফের তাকে আদালতে হাজির করানো হবে।