আনারুলের নির্দেশেই বগটুইয়ে বোমা-গুলি, তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ২ শাগরেদের সন্ধানে সিবিআই
আনারুলের নির্দেশেই বগটুইয়ে বোমা-গুলি, তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ২ শাগরেদের সন্ধানে সিবিআই
আনারুল হোসেনকে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসতে শুরু করেছে সিবিআইয়ের। জেরার মুখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। তিনি জানিয়েছিলেন তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু তদন্ত যত এগিয়েছে তােত একের পর এক রহস্য প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। আনারুলের নির্দেেশই বগটুইয়ে বোমা-গুলি চালানো হয়েছিল। এই ঘটনায় আনারুলের দুই শাগরেদের নামও জানতে পেরেছে পুলিশ। একজনের নাম লালন এবং আরেক জনের নাম জাহাঙ্গির। তাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই অফিসাররা।
সিবিআই হেফাজতে আনারুল
বগটুই
হত্যাকাণ্ডে
মূল
অভিযুক্ত
আনারুল
হোসেন।
ঘটনার
২দিন
পর
মুখ্যমন্ত্রীর
নির্দেশে
তারাপীঠ
থেকে
গ্রেফতার
করা
হয়েছিল
রামপুরহাটের
ব্লক
সভাপতি
আনারুল
হোসেনকে।
কেন
মুখ্যমন্ত্রীর
নির্দেশের
পরেই
এই
আনারুল
হোসেনকে
গ্রেফতার
করা
হল।
তার
আগে
কেন
পুলিশ
তাঁকে
গ্রেফতার
করল
না
তা
নিয়ে
প্রশ্ন
উঠতে
শুরু
করেছে।
আনারুল
হোসেনকে
হাতে
পাওয়ার
পরেই
তাঁকে
জেরা
শুরু
করেছিলেন
সিবিআইয়ের
তদন্তকারী
আধিকারীকরা।
তখনই
কান্নায়
ভেঙে
পড়ে
আনারুল
দাবি
করেন
তাঁকে
বলির
পাঁঠা
করা
হয়েছে।
আনারুলের নির্দেশেই বোমা
প্রথম দিন জেরার মুখে কান্নায় ভেঙে পড়ে আনারুল নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও কিন্তু জেরা যত তীব্র হয়েছে তত একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে আনারুলের নির্দেশেই বোমা মারা হয়েছিল বগটুই গ্রামে। তাঁর নির্দেশেই আগুন লাগানো হয়েছিল। এবং এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিল তার দুই সহযোগী লালন এবং জাহাঙ্গির। লালন এবং জাহাঙ্গিরের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে তারা।
বীরভূমের পুলিশ সুপারকে সমন পাঠানো হতে পারে
ইতিমধ্যেই রামপুরহােটর সাসপেন্ডেড আইসিকে জেরা করেছেন তদন্তকারী আধিকারীকরা। আজ দমকলকর্মীদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার দিন তাঁদের কেউ আগুন নেভাতে বাধা দিেয়ছিল কিনা তা নিয়ে কথা বলতে চায় সিবিআই আধিকারীকরা। জেরা করা হয়েছে সাসপেন্ডেড এসডিপিওকেও। তাঁদের জেরা করে ঘটনার দিন ঠিক কি ঘটেছিল তা জানতে চাওয়া হয়েছিল।
৪০ জন রয়েছে এই ঘটনায়
ইতিমধ্যেই ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম এবং মালদহের সীমানা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই তদন্তকারীরা জানিয়েছেন এই ঘটনায় ৪০ জনের হাত রয়েছে। ইতিমধ্যেই ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকি ২০ জনকে গ্রেফতারের জন্য একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে।