সিবিআইয়ের জেরার মুখে হাথরাসের অভিযুক্তদের পরিবার, কোন চিন্তায় কপালে ঘাম যোগীর?
হাথরাসের ঘটনায় আজ অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের জেরা করতে বুলগাড়ি গ্রামে পৌঁছাল সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত যুবতীকে গণধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত সন্দীপ, রবি, রামু এবং লবকুশের পরিবারের সদস্যদের জেরা করতে গ্রামে পৌঁছায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। তদন্ত শুরু হওয়ার ৪ দিনের মাথায় অভিযুক্তদের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।
মঙ্গলবার হাথরস পৌঁছায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল
এর আগে ১৩ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার হাথরস পৌঁছায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। নির্যাতিতার মৃতদেহ যেখানে সৎকার করা হয়েছিল, সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। বুধবার নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাথরাসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে ৬ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। হাথরাসে কৃষি বিভাগের একটি ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস তৈরি করা হয়েছে।
সিবিআই তদন্তের বিস্তারিত তথ্য জানতে মরিয়া যোগীর সরকার
এদিকে হাথরাসের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের বিস্তারিত তথ্য জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয় এক বিশেষ আবেদন পেশ করে যোগী সরকারের তরফে দাবি জানানো হয় যাতে তাদের প্রতি ১৫ দিন অন্তর যেন এই মামলার গিতিবিধি সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়।
হাসপাতালে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই
এদিকে এরই মাঝে উত্তরপ্রদেশের যে সরকারি হাসপাতালে নির্যাতিতার প্রথমে চিকিৎসা চলছিল, সেখানে যায় সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল। যুবতীর চিকিৎসার যাবতীয় রেকর্ড সংগ্রহ করেন তাঁরা। প্রায় এক ঘণ্টা হাসপাতালে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। নির্যাতিতার চিকিৎসার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে শোনেন তদন্তকারীরা। চিকিৎসক এবং নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উপর প্রশ্নচিহ্ন
এর মাঝেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের সিবিআইয়ের থেকে রিপোর্ট চেয়ে মামলা দায়ের নিয়ে সবাই অবাক। এমনিতেই প্রথম থেকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে এই মামলায় বাধা দেওয়া এবং ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যার জেরে চাপের মুখে পাঁচ পুলিশ আধিকারককে বদলিও করতে হয় যোগী সরকারকে। এরই মাঝে এবার সিবিআইয়ের গিতিবিধির উপর যোগীর নজরদারি করার ইচ্ছা আরও প্রশ্নচিহ্ন খাড়া করল।
কেরলের সোনা পাচার মামলায় দাউদ যোগ, আরও অস্বস্তিতে বিজয়নের বাম সরকার