১১ জন বালিকাকে হত্যা! বিহার হোম কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর হলফনামা সিবিআই-এর
বিহারের মুজফ্ফরপুর হোমকাণ্ডে সর্বোচ্চ আদালতে চাঞ্চল্য হলফনামা সিবিআই-এর।
বিহারের মুজফ্ফরপুর হোমকাণ্ডে সর্বোচ্চ আদালতে চাঞ্চল্য হলফনামা সিবিআই-এর। তারা জানিয়েছে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং কবর থেকে যেসব হাড় উদ্ধার করা হয়েছে, তার থেকে বলা যায়, হোমে থাকা ১১ বালিকাকে হত্যা করেছিল মূল অভিযুক্ত ব্রিজেশ ঠাকুর এবং তার সঙ্গীসাথীরা।
হলফনামায়
সিবিআই
জানিয়েছে,
অভিযুক্ত
বয়ান
রেকর্ড
করার
সময়
১১
বালিকার
নাম
উঠে
এসেছে।
সিবিআই
জানিয়েছে,
অভিযুক্তদের
মধ্যে
গুড্ডু
প্যাটেলকে
একটি
নির্দিষ্ট
জায়গায়
নিয়ে
যাওয়া
হয়েছিল।
সেখানে
কবর
খুড়ে
বেশ
কিছু
হাড়
পাওয়া
যায়।
টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোস্যাল সায়েন্সের রিপোর্টে উঠে আসে বিহারের মুজফফরপুরের হোমে ১১ বালিকার ওপর ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতম চালানো হয়েছিল। এরপরেই চাঞ্চল্য দেখা দেয়। তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআই-এর হাতে। তদন্ত করে মূল অভিযুক্ত ব্রিজেশ ঠাকুর-সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় তারা।
সিবিআই জানিয়েছে, তদন্তকারী অফিসার অভিযুক্তদের বয়ান রেকর্ড করার সময় এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সের তদন্তে ১১ বালিকার নাম পাওয়া যায়। যাদের ব্রিজেশ ঠাকুর ও তার দলবল হত্যা করেছিল।
শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি দীপক গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে।
আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী সোহেব আলম এবং ফৌজিয়া শাকিল ডিভিশন বেঞ্চে বলেন, সিবিআই সঠিকভাবে তদন্ত করেনি। বিষয়টি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করেন তাঁরা। আবেদনকারীর আইনজীবী দাবি করেন, সিবিআই মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। যদিও সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী তথা অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
তদন্তে
দেখা
গিয়েছে,
হোমের
মাস্টার
রেজিস্টারে
১১
জনের
নাম
ছিল।
তবে
সব
মিলিয়ে
৩৫
জনের
মধ্যে
অনেকেরই
নাম
একইরকমের
ছিল।
যারা
সবাই
কোনও
না
কোনও
সময়
মুজফফরপুরের
বালিকা
গৃহ
হোমে
ছিল।
এরই
সূত্র
ধরে
একাধিক
কবরখানায়
খনন
কার্য
চালায়
স্থানীয়
পুলিশ
ও
সিবিআই।
হলফনামায়
বলা
হয়েছে,
এসম্পর্কে
এখনও
তদন্ত
চালানো
হচ্ছে।
ঘটনায় বহিরাগতদের যোগসাজস সম্পর্কে সিবিআই জানিয়েছে, বহিরাগতরা সেখানকার বালিকাদের ওপর শারীরিক কিংবা যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। সেরকম অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।