রেলের টেন্ডার দুর্নীতিতে লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে মামলা সিবিআই-এর, পাটনা সহ ৪ জায়গায় তল্লাশি
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন একটি সংস্থাকে বেআইনিভাবে টেন্ডার পাইয়ে ৩২ কোটি টাকার জমি মাত্র ৫৪ লক্ষ টাকায় পেয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব, শুক্রবার এমনই অভিযোগ করেছে সিবিআই
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ৩২ কোটি টাকা মূল্যের একটি তিন একরের জমি মাত্র ৫৪ লক্ষ টাকায় পেয়েছিলেন আরজেডি সাংসদ লালু প্রসাদ যাদব। তার বদলে বেআইনিভাবে রেলের দুটি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থারকে তিনি টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে শুক্রবার অভিযোগ করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই দুর্নীতি দমন আইনে গত ৫ই জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
সিবিআই-এর অতিরিক্ত ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুর্নীতি করেছেন। লালুর পাশাপাশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, তাঁর ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব, আইআরসিটিসি-র প্রাক্তন ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর পি কে গোয়ল, আরজেডি-র রাজ্যসভার সাংসদ প্রেমচাঁদ গুপ্তার স্ত্রী সরলা গুপ্তা ও সুজাতা হোটেলস প্রাইভেট লিমিটেড-র দুই কর্ণধার বিনয় ও বিজয় কোচরের বিরুদ্ধে। এই সুজাতা হোটেলস প্রাইভেট লিমিটেডকেই লালু বেআইনিভাবে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
সিবিআই-এর অভিযোগ, ২০০৪ থেকে ২০১৪-র মধ্যে ষড়যন্ত্র করে পুরী ও রাঁচিতে রেলের দুটি হোটেলেকে আইআরসিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরই ওই দুটি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় সুজাতা হোটেলসের হাতে। টেন্ডারে কারচুপি করেই এই হোটেল গোষ্ঠীকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন রাকেশ আস্থানা। পরিবর্তে পাটনায় ডিলাইট মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেডের নামে তিন একর জমির প্লটের রেজিস্ট্রেশন হয়। এই সংস্থাটি লালুপ্রসাদের ঘনিষ্ঠ সরলা গুপ্তার বলে জানা গিয়েছে। এরপর ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এই জমিটি ফের লারা প্রোজেক্টসের নামে রেজিস্ট্রশন হয়। এই সংস্থাটি লালুর পরিবারের বলেই জানিয়েছে সিবিআই। সেসময়ে ওই জমির সরকারি দাম ছিল ৩২ কোটি টাকা। কিন্তু লারা প্রোজেক্টসকে ওই জমি দেওয়া হয় মাত্র ৫৪ লক্ষ টাকা।
শুক্রবার সকাল থেকেই পাটনা, রাঁচি, ভুবনেশ্বর ও গুরুগ্রামে লালু ও অন্যান্য অভিযুক্তদের মোট ১২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই।