সোহরাবউদ্দিন এনকাউন্টার যে ভুয়ো ছিল তা স্বীকার করে নিল সিবিআই
সোহরাবউদ্দিন শেখ এনকাউন্টার মামলা যে ভুয়ো ছিল তা শুনানির শেষদিনে সওয়াল-জবাবের শেষে স্বীকার করে নিয়েছে সিবিআই। জানিয়েছে, সোহরাবউদ্দিন শেখ ও অন্যদের এনকাউন্টারে খুন হওয়ার ঘটনা ভুয়ো সংঘর্ষ ছিল।

সোহবারউদ্দিন ২০০৫ সালে রাজস্থান ও গুজরাত পুলিশের যৌথ বাহিনীর অভিযানে খুন হয়। আর তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী তুলসীরাম প্রজাপতি ২০০৬ সালে খুন হয়। সিবিআই দুটি এনকাউন্টারকেই ভুয়ো বলে আদালতে জানিয়েছে।
সরকারি আইনজীবী বিপি রাজু জানিয়েছেন, সিবিআই আদালতে যে তথ্যপ্রমাণ দাখিল করেছে তা থেকে বোঝা যাচ্ছে সংঘর্ষ ভুয়ো। আদালতে এটাও জানানো হয়, সেইসময়ে রাজস্থান পুলিশ দাবি করেছিল, সোহরাবউদ্দিনের লস্কর জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। বড় কোনও নেতাকে সে খুনের চক্রান্ত করেছিল।
সোহরাবউদ্দিনের এনকাউন্টারের পরে তার যা যা সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে তাতে রক্তের দাগ ছিল। তবে যে টিকিট উদ্ধার হয়েছে সুরাট থেকে আহমেদাবাদের তাতে রক্তের দাগ ছিল না। সেটি পরে ইচ্ছে করে পকেটে ঝুকিয়ে দেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
হাই প্রোফাইল এই মামলায় ২০১৪-১৭ সালের মধ্যে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সহ অনেককেই প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়। তদন্তকারী অফিসার সন্দীপ তামগাডগের দাবি, অভিযুক্তদের কল ডেটা রেকর্ডস ঘাঁটলে আসল তথ্য উঠে আসে।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে তুলসীরাম গুজরাত পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যায়। রাজস্থান পুলিশের দাবি, আহমেদাবাদ থেকে উদয়পুরের জেলে ফেরত আনার সময় হেফাজত থেকে তুলসীরাম পালিয়ে গিয়েছিল। তারপরই এনকাউন্টার হয়। সেই ঘটনাও ভুয়ো ছিল বলে জানা গিয়েছে।