বিক্রম কোঠারি নিয়ে সক্রিয় সিবিআই! কানপুর থেকে গ্রেফতার রোটোম্যাক মালিক
শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল রোটোম্যাক গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি বিক্রম কোঠারিকে। কমপক্ষে ৫ টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল রোটোম্যাক গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি বিক্রম কোঠারিকে। ঘণ্টা কয়েক আগেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছিলেন, দেশ ছাড়েননি তিনি। কমপক্ষে ৫ টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের পর সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে নীরব মোদীর প্রতারণা কাণ্ড সামনে আসতেই সামনে আসে বিক্রম কোঠারির নাম। কানপুরের মল রোডের অফিস বন্ধ থাকায় একাধিক সংবাদ মাধ্যম বলে, নীরব মোদীর মতো দেশ ছেড়েছেন রোটোম্যাকের মালিক বিক্রম কোঠারিও।
হইচই পড়তেই, বিক্রম কোঠারি জানান, তিনি দেশ ছেড়ে যাননি। কোঠারির দাবি, তাঁর বিষয়টি কেলেঙ্কারি নয়। তিনি ভারতীয় নাগরিক এবং তিনি নিজের শহরেই রয়েছেন। একইসঙ্গে বিক্রম কোঠারির দাবি, তাঁর কোম্পানিকে অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হলেও, তিনি ঋণ খেলাপি নন। ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনালে বিচারাধীন বলে জানিয়েছেন তিনি। ব্যাঙ্কের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন কোঠারি। ব্যাঙ্কের সঙ্গে তিনি সহযোগিতা করছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। শিগগিরই ঋণ শোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
তবে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ জানানোর পর থেকেই বিক্রম কোঠারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে। সোমবার ভোরে কানপুরের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই-এর বিশেষ তদন্তকারী দল। বিক্রম কোঠারি ছাড়াও তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক এবং ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক থেকে ৮০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিক্রম কোঠারির বিরুদ্ধে।
গত বছরেই বিক্রম কোঠারি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের একাধিক সম্পত্তি নিলাম করা হয় ব্যাঙ্কের তরফ থেকে। পাওয়া টাকা থেকে ঋণ মেটানোর বন্দোবস্ত করে ব্যাঙ্কগুলি।