রাত পোহালেই নির্বাচন, প্রথম দফায় পাল্লা ভারী কার? একনজরে অঞ্চলের ভোট সমীকরণ
রাত পোহালেই বিহার নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন। ৭১টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে বুধবার। দক্ষিণ ভোজপুর এবং পাটলিপুত্র-মগধ এলাকায় এই দফার ভোটগ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এবং বহু বছর পর ফের বিহারের ভোট রাজনীতিতে ফিরে এসেছে জাতপাতের সমীকরণ। এই নিরিখে প্রথম দফার নির্বাচনে পাল্লা ভারী কোন দলের?
এলাকার জাতপাত সমীকরণ
১৯৮০ এবং ৯০-এর দশকে বিহারের এই অঞ্চল বারংবার জ্বলেছে জাতপাতের সংঘাতের জেরে। সেই আবহেই রাজনৈতিক ভাবে বিভেদও সৃষ্টি হয়েছিল এই এলাকায়। বিহারে মোট ১৬ শতাংশ ভোটার উচ্চবর্ণের। কিন্তু বিহারের গড় থেকে দক্ষিণ বিহারের এই এলাকাতে তুলনামূলক ভাবে উচ্চবর্ণের ভোটার সংখ্যা বেশি। তাছাড়া এই এলাকায় যাদব, কুর্মী এবং মহাদলিতরাও রয়েছেন প্রচুর। এককালে এই দলিত গোষ্ঠীরা লালুপ্রসাদকে একচেটিয়া সমর্থন যুগিয়েছে। তবে পরে কুর্মী এবং মহাদলিতদের একাংশ নীতীশের পালে হাওয়া যুগিয়েছে।
বিজেপি-জেডিইউ জোটে নয়া সমীকরণ
মূলত বিজেপি-সমতা পার্টি (বর্তমানের জেডিইউ) জোটের মাধ্যমেই এই অঞ্চলের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের আবির্ভাব ঘটে ১৯৯০ দশক নাগাদ। আরজেডি আস্তে আস্তে এখানে তাদের একচেটিয়া সমর্থন হারাতে থাকে। তবে ২০১৫ সালে আলাদা সমীকরণে ভোট হয়েছিল। সেবারে আরজেডি-কংগ্রেস-জেডিইউ জট গঠন করেছিল। সেই ক্ষেত্রে এই বার এই এলাকার ভোট সমীকরণের উপর নজর সবার।
দক্ষিণ বিহার এলাকায় দাপট দেখিয়ে এসেছে নীতীশ
২০০৫ সাল থেকে এই দক্ষিণ বিহার এলাকায় দাপট দেখিয়ে এসেছে নীতীশের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ। তবে এবার ভোটারদের মনে ১৫ বছরে একঘেয়ে অভ্যাস ছেড়ে বের হওয়ার একটি সুযোগ রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আরজেডির পালে ফের মহাদলিতদের ভোটের হাওয়া লাগতে পারে। তাতে লোকসান হবে জেডিইউর। তবে দল হিসাবে বিজেপি কিন্তু তাতে খুব একটা প্রভাবিত হবে না। কারণ তারা বেশির ভাগ আসনে লড়ছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাই জাত সমীকরণে তাদের ভোট কাটাকাটির সম্ভাবনা কম।
৭১টি আসনের ১২টিতে হতে পারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
২০১৫ সালের সংখ্য়া দেখলে জানা যায়, প্রথম দফার ৭১টি আসনের ১২ আসন বিহারের গদি উল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। প্রথম দফার ৭১টি আসনের ১২টিতে গতবার ৫০০০ ভোটেরও কম ব্যবধানে ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে। এই আবহে যে এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইততে জিতবে সে এগিয়ে যাবে অনেকটাই।
অনেককগুলি আসনেই রয়েছে ত্রিমুখী লড়াই
এর মধ্যে অবশ্য অনেককগুলি আসনেই রয়েছে ত্রিমুখী লড়াই। বিএসপি-এআইএমআইএম জোট ছাড়াও লড়াইতে রয়েছে এলজেপি। তাছাড়া ২০১৫ সালের তুলনায় এবারের জোটের সমীকরণ হদল হয়েছে। আরজেডি ছেড়ে আসা নেতা যেমন টিকিট পেয়েছেন বিএসপি থেকে। সেরকমই বিজেপি ছেড়ে এলজেপিতে গিয়ে টিকিট পেয়েছেন অনেক জন নেতা।
২০১৫ সালের হিসাব
২০১৫ সালে দক্ষিণ বিহারের এই অঞ্চলে জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেসের মহাজোট ৭১টির মধ্যে ৫৪টি আসন জিতেছিল। তবে এবার দেখতে হবে এই নির্বাচনে এই আসনগুলি জেডিইউর ঝুলিতে যায়, নাকি কংগ্রেস-আরজেডির ঝুলিতে। এদিকে যে ১২টি আসনে গতবার হাড্ডাবাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সেগুলির মধ্যে এবার বিজেপি ৮টিতে লড়ছে, অন্য ৪টিতে লড়ছে জেডিইউ।
চিনের চিন্তা বাড়িয়ে আরও পোক্ত ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব, একনজরে ২+২ বৈঠকে স্বাক্ষরিত পাঁচটি চুক্তি