মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ক্যাপ্টেন, অমরিন্দরের সিদ্ধান্তে সংকটের মেঘ ঘনাচ্ছে পাঞ্জাবে
মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ক্যাপ্টেন, অমরিন্দরের সিদ্ধান্তে সংকটের মেঘ ঘনাচ্ছে পাঞ্জাবে
শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের পথেই হাঁটলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগ পত্র দমা দিয়েছেন তিনি। আগেই অমরিন্দর যে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তা জানিয়েছেন তাঁর ছেলে। গত কয়েক মাস ধরেই অমরিন্দরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দানা বেঁধেছিল পাঞ্জাব কংগ্রেসে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর দাবি উঠেছিল। নেপথ্যে ছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। এমনই শোনা যাচ্ছিল।
পদত্যাগ করছেন অমরিন্দর
অবশেষে জল্পনাই সত্যি হল। পদত্যাগ করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। সকালেই সোনিয়া গান্ধীর কাছে পদত্যাগের কথা বলেছিলেন তিনি। অমরিন্দরের মান ভঞ্জনে ময়দানে নেমেছিলেন হরিশ রাওয়াত। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি তাঁরা। পদত্যাগের পথই বেছে নিয়েছেন ক্যাপ্টেন। আগে শোনা গিয়েছিল তিনি বলেছিলেন যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হয় তাহলে তিনি পার্টি ছেড়ে দেবেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমরিন্দরের এই পদত্যাগ বড় প্রভাব ফেলবে ভোট ব্যাঙ্কে এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অমরিন্দরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
পাঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব সিধুকে দেওয়ার পর থেকেই অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর দাবি উঠতে শুরু করে। প্রকাশ্যেই সিধু এবং তাঁর অনুগামী বিধায়করা অমরিন্দরের মুখ্যমন্ত্রী পদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুেলছিলেন। তাঁরা সোনিয়া গান্ধীর কাছে গিয়ে নালিশ করেছিলেম ভোট প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি অমরিন্দর সিং। তাতে প্রভাব পড়বে ভোট ব্যাঙ্কে এমনই দাবি করে সোনিয়া গান্ধীর কাছে দরবার করেছিলেন সিধুর অনুগামীরা। যদিও হরিশ রাওয়াত সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন বিধানসভা নির্বাচন অমরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বেই লড়বে কংগ্রেস।
সিধুই কাঁটা
পাঞ্জাব কংগ্রেসে বিভেদটা প্রকট করে দিলেন সিধুই। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সিধুর সঙ্গে অমরিন্দরের প্রবল দ্বন্দ্ব জেনেও সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করায় জট যে বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অমরিন্দর প্রথম থেকেই সিধুকে পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান নির্বাচিত করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সোনিয়া গান্ধীর কাছেও এই নিয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ক্যাপ্টেনের কথাকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি হাইকমান্ড। শেষ পর্যন্ত পার্টির খাতিরে সিধুতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলে মেনে নিয়েছিলেন অমরিন্দর। সিধু কিন্তু নিজের খেলা চালিয়ে গিয়েছে। প্রদেশ সভাপতি হওয়ার পরেই অমরিন্দরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের উস্কানি দিয়েছেন।
অন্তর্দ্বন্দ্বে ভোট ব্যাঙ্কে ধাক্কা
বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেসের অন্দরে এই দ্বন্দ্ব ভোট ব্যাঙ্কে প্রবল ধাক্কা খাবে বলে মনে করছে রাজনৈিতক মহল। কারণ এমনিতেই একাধিক রাজ্যে কংগ্রেসের অন্দরে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে। সূত্রের খবর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমরিন্দর। েসখানেই নিজের পদত্যাগের কারণ স্পষ্ট করতে পারবেন তিনিষ অমরিন্দরের এই সিদ্ধান্তে কংগ্রেসের ফেস লস যে হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।