বিহারের রাজধানী নয়াদিল্লি! শিক্ষিকার উত্তরে হাঁ জেলাশাসক
- প্রতিভা পাটিল!
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে?
- স্মৃতি ইরানি!
এক শিক্ষিকার সাধারণ জ্ঞানের বহর শুনে তাজ্জব বনে গেলেন গয়ার জেলাশাসক। বদলির আর্জি নিয়ে হাজির হওয়া ওই শিক্ষিকার আবেদন তো শুনলেনই না, উল্টে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা আসল কি না, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন।
গয়া জেলার বাঁকেরবাজার ব্লকের ডুমরি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অনিতা কুমারী। বাড়ি থেকে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে পৌঁছন। তাই বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে বদলির আবেদন নিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন। কথাবার্তায় এমন অজ্ঞতার ছাপ ছিল যে, জেলাশাসকের সন্দেহ হয়। তিনি নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেন। এমনকী, বিহারের রাজধানী যে নয়াদিল্লি নয়, সেটাও জানেন না ওই শিক্ষিকা! নীতীশ কুমারকে কংগ্রেস নেতা বলে বর্ণনা করেন। তাজ্জব জেলাশাসক তাঁকে তৎক্ষণাৎ প্রস্থানের নির্দেশ দেন। জেলা স্কুল ইন্সপেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছেন, ওই শিক্ষিকার শিক্ষাগত যোগ্যতা আসল কি না, তা যাচাই করে রিপোর্ট দিতে।
বিহারে এমন ঘটনা নতুন নয়। ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে সরকারি চাকরি পান, এমন উদাহরণ ভুরিভুরি। কিছুদিন আগে সমস্তিপুর জেলার একটি স্কুলে এক শিক্ষিকা পড়ুয়াদের পড়াচ্ছিলেন, ৩৬০ দিনে এক বছর। 'এডুকেশন' শব্দের উচ্চারণ বলেছিলেন 'এডুকেটিওন', 'লাইট' শব্দের উচ্চারণ বলেছিলেন 'লিগহট' ইত্যাদি। জানাজানি হওয়ার পর বিস্তর হইচই হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ওই মহিলা ভুয়ো সার্টিফিকেট দাখিল করে চাকরি পেয়েছেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নিজেও কিছুদিন আগে বিধানসভায় বলেছেন, অনেকে ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়ে চাকরি পাচ্ছে।