গরু রচনা লিখে পাশ সিভিল সার্ভিসে, হলেন ডেপুটি কালেক্টরও!
পশ্চিমবঙ্গে যেমন ডব্লুবিসিএস (ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষার মাধ্যমে আমলা নিয়োগ করা হয়, ঝাড়খণ্ডেও তেমন জেসিএস পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রিলিমিনারির পর মেইন পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ফলাফল বেরোনর পর সন্তুষ্ট হতে পারেননি অনেকে। ভালো পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও কেন নাম নেই, এই অভিযোগে কয়েকজন পরীক্ষার্থী আদালতে মামলা করেন। আদালত সিবিআই-কে তদন্তভার দেয়। শুক্রবার সিবিআই জানায়, প্রশ্নপত্রে নেই, এমন বিষয় নিয়ে লিখেছে অনেক পরীক্ষার্থী। একজন গরু নিয়েও রচনা লিখেছে। গরুর ক'টা পা, কী খায়, গরুর উপকারিতা কী ইত্যাদি। আর তাকে পুরো নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেই ব্যক্তি পাশ করে ডেপুটি কালেক্টর পদে যোগ দিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছে। এমন আজগুবি লিখে পাশ করে অন্যান্যরাও পেয়েছে পছন্দ মতো চাকরি। এমন আজব উত্তরপত্রগুলি আদালতের সামনে আগামী ১১ অগস্ট পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশন (জেপিএসসি) তদন্তে সহায়তা করছে না। নানা অজুহাত দিচ্ছে। এর ফলে তদন্ত বিঘ্নিত হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে সিবিআই অফিসাররা জানান, এখনও পর্যন্ত দু'টি মামলার তদন্তে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি মামলায় চার্জশিট পেশ করা হতে পারে।
কিছুদিন আগে অনুরূপ কেলেঙ্কারিতে উত্তাল হয়েছিল কর্নাটক। টাকা নিয়ে কর্নাটক অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (কেএএস) পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাগুলি যথেষ্ট অভিজাত পরীক্ষা। তাতেও যদি এমন কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে, তা হলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকারের ভিজিল্যান্স কমিশনগুলি কী করে, উঠেছে সেই প্রশ্ন।