নাবালিকা বিবাহিত মহিলাদের যৌন হেনস্থা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
নাবালিকা মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন হলে পসকো আইন অনুযায়ী স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের।
অল্পবয়সী নাবালিকা বিবাহিত শিশুরা বিবাহিত বলে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েও আইনি সুবিধা পাবে না, এমনটা হতে পারে না। এক্ষেত্রে বিয়ে কোনও বাধা হতে পারে না যৌন হেনস্থায় সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে। ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে নাবালিকা বিবাহিত মহিলাদের সঙ্গে স্বামী যৌন মিলন এখনও এদেশে অপরাধ বলে বিবেচিত না হলেও নিগৃহীতাদের রক্ষা করার অধিকার সংবিধান মেনে করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
পনেরো থেকে আঠারো বছরের মহিলাদের বিয়ের পর যৌন হেনস্থা নিয়ে একটি স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। ঘটনা হল ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে অথচ ১৮ বছরের নিচে বিবাহিত মেয়েদের শারীরিক মিলনকে ধর্ষণ বলা নিয়ে আপত্তি রয়েছে।
যদিও আদালতে হওয়া মামলায় এমন ক্ষেত্রে স্বামীকে শিশুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন আইন (পসকো) মেনে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। বিচারপতি মদন বি লোকুর ও দীপক গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদন খতিয়ে দেখে বলেন, নাবালিকা মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন হলে পসকো আইন অনুযায়ী স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
আদালত বলেছে, ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে বিবাহিত মেয়ের সংখ্যা আগের চেয়ে কমলেও এখনও বহু সংখ্যক মেয়েকে সময়ের আগেই বিয়ে করতে হচ্ছে। ২০১৫-১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হয়েছে এমন মেয়ের সংখ্যা বিহার, গোয়া, হরিয়ানা, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গে আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে।
এই মুহূর্তে ১৫ বছরের বেশি বয়সী বিবাহিত মহিলাদের সম্মতি নিয়ে যৌন মিলন করতে পারেন স্বামী। সেই বয়স বাড়িয়ে ১৮ বছর করে দেওয়ার কথা আর একটি আবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন আইন থাকা সত্ত্বেও দেশে এখনও ২.৩ কোটি নাবালিকা বিবাহিত মহিলা রয়েছে। যদিও কেন্দ্র যে তথ্য সুপ্রিম কোর্টকে দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে গত তিন বছরে ৮৯৯টি বাল্যবিবাহের অভিযোগ জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে ১৩৬ জন ব্যক্তির সাজা হয়েছে।