জয়ললিতার জন্মবার্ষিকীতে ডিএমকে-কে হারানোর ডাক, পালানিস্বামীকে চাপে রেখে নয়া রণকৌশল শশীকলার
জয়ললিতার জন্মবার্ষিকীতে ডিএমকে-কে হারানোর ডাক, পালানিস্বামীকে চাপে রেখে নয়া রণকৌশল শশীকলার
বাংলার পাশাপাশি নির্বাচনী হওয়ায় ক্রমেই তপ্ত হয়ে উঠছে তামিলনাড়ুও। এদিকে দীর্ঘ চার বছর কারাবাসের পর মুক্তি পেয়ে অবশেষে নিজ গড়ে ফিরেছে বহিষ্কৃত এআইডেএমকে নেত্রী তথা একদা জয়ললিতার ছায়া সঙ্গী শশীকলা। মুক্তির পরেই ফের স্বমহিমায় ফিরেছেন রাজনৈতিক ময়দানে। এদিকে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে দিতে দেখা গেল বিশেষ বার্তা।
গত সপ্তাহেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শশীকলা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এআইডিএমক-র ক্ষমতা ফিরে পেতে গত সপ্তাহেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শশীকলা। তাঁর অভিযোগ তামিলনাড়ুর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিস্বামী ও উপমুখ্যমন্ত্রী ও পরিনসেলভাম অন্যায় ভাবে দলের শীর্ষ পদের ক্ষমতা দখল করে বসে রয়েছেন। তা বর্তমানে ফিরে পেতে চান তিনি। এদিকে শশীকলার এই পদক্ষেপের পর বিস্তর চাপানৌতর দেখা যায় তামিল রাজ্য-রাজনীতিতে।
জয়ললিতার জন্মবার্ষিকী আবার ডিএমকে-কে হারানোর ডাক
এদিকে শশীকলার এই পদক্ষেপে দলীয় এআইডিএমকে-র দলীয় কোন্দল থেকে ডিএমকে রীতিমোত ফায়দা তুলতে শুরু করেছিল বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এমনকী শশীকলার প্রত্যাবর্তনে এআইডিএমকে-র অন্দরে যে আশা-আশঙ্কার দোলচল কাজ করছে তাও সর্বদা ভালো ভাবে নিচ্ছে না আম-আদমি। এমতাবস্থায় জয়ললিতার জন্মবার্ষিকীতে ডিএমকে-কে হারাতে একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিতে দেখা গেল তাঁকে।
ঠিক কী বললেন শশীকলা ?
আর মাস দুয়েকের মাথায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শশীকলার এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিন জয়ললিতার জন্মবার্ষিকিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শশীকলাকে বলতে শোনা যায়, " আম্মার সমস্ত অনুগামীদেরই এবার একজোট হওয়ার সময় এসেছে। সময় এসেছে লড়াইয়ের মাধ্যমেই জয় ছিনিয়ে আনার।আমাদের একটাই লক্ষ্য নির্বাচনী জয়। খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে রণকৌশল ঠিক করতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আমি দেখা করব। সাধারণ মানুষের কাছেও আমাদের বার্তা পৌঁছে দেব।"
বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থেই একসাথে চলার বার্তা ?
এদিকে শশীকলার এই মন্তব্যে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিস্বামী ও উপমুখ্যমন্ত্রী ও পরিনসেলভাম যে বেশ খানিকটা চাপে পড়বেন তা বলাই বাহুল্য। দলীয় কোন্দলে যখন জর্জরিত এআইডিএমকে, সেখানে শশীকলার এই 'একসাথে চলার' কথা বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এমনকী শশীকলার ভাবমূর্তিও এতে যে আগের থেকে অনেকটাই স্বচ্ছ হবে তাও মেনে নিচ্ছেন কমবেশি সকলেই।
সোনার দাম ২৪ ফেব্রুয়ারিও ৫০ হাজারের নিচে রইল! কলকাতায় দর কোথায় পৌঁছল