জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে সওয়াল বিজেপির! অধিবেশন শুরু আগেই ফের শোরগোলের সম্ভাবনা
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনিল আগরওয়াল রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লেখা এক চিঠিতে দাবি তোলেন, এবার সময় এসেছে জন্ম নিয়ন্ত্রক আইন আনার। তিনি দাবি তোলেন, ভারতে এই বেড়ে চলা জনসংখ্যা যদি নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তবে শীঘ্রই আমরা চিনকে ছাপিয়ে যাব। এবং এ ক্ষেত্রে হিন্দু-মুসলিম সব ধর্মের মানুষকেই সচেতন করা প্রয়োজন বলে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন।

সময় এসেছে জন্ম নিয়ন্ত্রণের
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি লেখেন, '২০১৯ সালের ১৫ অগাস্ট আপনি লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গে ভাষণ রেখেছিলেন। আপনি বলেছিলেন, যে সময় এসেছে। তাই আমি আপনার কাছে অনুরোধ করছি যাতে পরবর্তী অধিবেশনে এই সংক্রান্ত একটি বিল উপস্থাপিত হয়।'

সব ধর্মের ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন
এদিকে যদিও অনিল সব ধর্মের ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণের কথা বলছেন, বিরোধীদের অভিযোগ এই দাবির নেপথ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে রয়েছে। এবং বিশেষ করে মুসলিমদের দিকে আঙুল তুলতেই এহেন দাবি জানানো হয়েছে। যদিও অনিল আগরওয়ালের স্পষ্ট বক্তব্য, হিন্দু-মুসলিম সব ধর্মের মানুষকেই সচেতন করা প্রয়োজন, নয়ত শীঘ্রই আমরা চিনকে ছাপিয়ে যাব।

রাজ্যসভায় বিল উপস্থাপিত
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রাজ্যসভাতে এই সংক্রান্ত একটি বিল পেশ করেছিলেন সাংসদ রাকেশ সিনহা। রাকেশের উপস্থাপিত জন্ম নিয়ন্ত্রক বিষয়ক বিলটি ১২৫ জন সাংসদ সই করে সমর্থনও জানিয়েছেন। যদিও এটি আইনে এখনও পরিণত হয়নি।

অ্যাজেন্ডার খোঁজে বিজেপি
এদিকে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের স্বপ পূরণ হওয়ার রাস্তা পরিস্কার হতেই এবার কাশী ও মথুরায় মসজিদের বদলে মন্দির নির্মাণের দাবি উঠেছে। ফের স্লোগান উঠেছে, অযোধ্যা তো বস ঝাঁকি হ্যাঁ, কাশী-মথুরা বাকি হ্যাঁ। আর এই স্লোগান ফের উঠতেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, বিজেপিও তাদের পরের নির্বাচনী অ্যাজেন্ডা পেয়ে গেল। এবং সামপ্রদায়িকতার দৈত্যকে ফের খুঁচিয়ে তুলতে অভিন্ন আইন ও জন্ম নিয়ন্ত্রক আইনের কথাও বলা হচ্ছে।

ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি জারি?
রাম মন্দির নিয়ে সব দল সহমত হওয়ার একটা মূল কারণ ছিল, আর ধর্মের ভিত্তিতে বা মন্দির-মসজিদ নিয়ে কোনও বিবাদ, রাজনীতি, বিভেদ তৈরি হবে না। তবে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে কোনও অ্যাজেন্ডা ছাড়া ভোট চাওয়া মুশকিল। সেই ক্ষেত্রে সবাই মনে করেছিল, মথুরা কাশী নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারে বিজেপি। যদিও এই বিষয়ে বিজেপি নিজে মুখ খোলেনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর নিজের কেন্দ্র কাশী নিয়ে রাজনৈতিক মোচড় বিজেপি দেবে না, এটা বিশ্বাস করেন খুব রাজনৈতিক বোদ্ধারাই। সঙ্গে যোগ হবে অভিন্ন আইন ও জন্ম নিয়ন্ত্রক আইনের মতো অ্যাজেন্ডা।
