বাজেটের আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা! বাংলার জন্যে থাকবে বড় চমক?
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। কার্যত বড় চ্যালেঞ্জ মোদী-শাহের কাছে। আর এই অবস্থায় ২৩ সালটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের কাছে। আর এর মধ্যেই সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় নির্বাহীর বৈঠক।
Cabinet Reshuffle: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। কার্যত বড় চ্যালেঞ্জ মোদী-শাহের কাছে। আর এই অবস্থায় ২৩ সালটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের কাছে। আর এর মধ্যেই সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় নির্বাহীর বৈঠক। যে বৈঠকের মধ্যে দিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল।
ফেব্রুয়ারিতে আর্থিক বাজেট। আর সেই বাজেটের আগেই মন্ত্রিসভাতে রদবদল সারতে চায় বিজেপি। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
৩১ জানুয়ারির আগেই হতে পারে রদবদল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর দ্বিতীয় শাসনকালে জুলাই ২০২১ সালে একবার মন্ত্রিসভার রদবদল করেন। যেখানে আগে প্রথম পর্যায়ে নরেন্দ্র মোদী তাঁর পাঁচ বছরের শাসনকালে তিনবার মন্ত্রিসভার রদবদল করেছিলেন। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিজেপির তরফে কিংবা সরকারের তরফেও সরকারি ভাবে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩১ জানুয়ারি সাংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আর তার আগেই মন্ত্রিসভাতে এই রদবদল হতে পারে বলে খবর। অন্যদিকে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ১৬ থেকে ১৭ জানুয়ারি দিল্লিতে হবে বলে খবর।
নির্বাচনের আর ১৫ টা মাস বাকি রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্নাটক, রাজস্থান, ছত্তিসগড়ে ভোট রয়েছে সামনেই। আর এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এই মন্ত্রিসভার রদবদল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মন্ত্রিসভার এই রদবদল লোকসভার আগে শেষবার হতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। লোকসভার নির্বাচনের আর ১৫ টা মাস বাকি রয়েছে। এই অবস্থায় বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং তেলেঙ্গানার মতো বড় রাজ্যগুলির একাধিক রাজনৈতিক সমীকরণও রদবদলে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্তত ১২ জন মন্ত্রী এবার পদ খোয়াতে পারেন
বলে রাখা প্রয়োজন, গতবার প্রকাশ জাভেড়াকার, রবিশংকর প্রসাদের মতো বড় মাথাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি বাবুল সুপ্রিয়ও চাকরি খোওয়ান। আর এই সমস্ত জায়গাতে একাধিক নতুন মুখ নিয়ে আসা হয়। তবে এবার মোদীর মন্ত্রিসভাতেও চমক থাকতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, অন্তত ১২ জন মন্ত্রী এবার পদ খোয়াতে পারেন। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে একনাথ শিন্ডে শিবির থেকে সাংসদদের মধ্যে কাউকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতে জায়গা দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও চিরাগ পাসওয়ানকে পুরস্কৃত করা হতে পারে বলে খবর। এছাড়াও বেশ কয়েকজন শরিক দল থেকেও মন্ত্রী হতে পারে বলে খবর।
বাংলার জন্যে থাকবে চমক?
আর এই তালিকাতে বাংলা থেকে কাউকে কেন্দ্রীয় মুখ করা হয় কিনা সেদিকেই নজর থাকবে। ইতিমধ্যে নীতীশ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর সহ বেশ কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়েছে। কিন্তু সবাইকেই প্রতিমন্ত্রী করে রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় বারবার বাংলার সাংসদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে আওয়াজ চড়ান বিরোধীরা। এমনকি চাকরি যাওয়ার পর তৃণমূলে ঢুকেই বাবুল সুপ্রিম একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। বাঙালিদের সম্মান দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ করেন। এই অবস্থায় বড় কোনও চমক থাকে কিনা সেদিকেই নজর থাকবে।