তিন তালাক বিলে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজনী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার
তিন তালাক বিলে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজনী আনল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তিন তালাক দেওয়ায় দোষী সাব্যস্ত স্বামীকে জামিন দেওয়ার সংযোজনী আনা হল।
তিন তালাক বিলে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজনী আনল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তিন তালাক দেওয়ায় দোষী সাব্যস্ত স্বামীকে জামিন দেওয়ার সংযোজনী আনা হল। স্ত্রীকে তিন তালাক দেওয়া অসাংবিধানিক এবং এই কাণ্ড করলে স্বামীর তিন বছরের কারাবাসের সাজাই রাখা হয়েছে। এই আইনে জেলের পাশাপাশি জরিমানার শাস্তিও রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের এনডিএ সরকার ২০১৭ সালে এই বিল পাশ করে। তাতেই নতুন সংযোজনী আনা হয়েছে।
রাজ্যসভায় হোঁচট
লোকসভায় 'দ্য মুসলিম উইমেন প্রোটেকশন অব রাইটস অন ম্যারেজ বিল' পাশ করিয়ে নিলেও রাজ্যসভায় সদস্য সংখ্যা কম থাকায় তা পাশ করাতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে সরকার।
ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা
এদিনের সংযোজনী মোতাবেক, দোষী সাব্যস্ত স্বামীকে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন দিতে পারেন। তাৎক্ষণিক তালাক ও তালাক-ই-বিদ্দতেক ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হবে। নির্যাতিতা নারী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়ে নিজের ও সন্তানের খোরপোশের দাবিও করতে পারবেন।
মহিলাদের ক্ষমতায়ন
একজন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়ে নিজের নাবালক ও নাবালিকা সন্তানের দায়িত্ব চাইতে পারেন। এক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
২০১৭-য় বিল পাশ
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তিন তালাক বিল কোলসভায় পাশ হয়। বিরোধীরা বেশ কিছু সংশোধনী আনার কথা বলেছিল। তবে তা না শুনে লোকসভায় যেদিন বিল পেশ হয় সেদিনই পাশ হয়। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, স্বামীর স্ত্রীকে তালাক দেওয়া - কথায়, হাতে লিখে বা দূরভাষের মাধ্যমে- তা আইনত অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন করলে তিন বছরের সাজা, জরিমানা দুটোই হতে পারে।