নাগরিকত্ব বিল নিয়ে শুরু তোড়জোড়, সাংসদদের দেওয়া হল খসড়া বিলের প্রতিলিপি
আগামী সোমবার সংসদে নাগরিকত্ব বিল পেশ হতে চলেছে। তার আগে সাংসদদের আজ এই বিলের খসড়ার প্রতিলিপি দেওয়া হল। সোমবার বিল পেশ হলে এর উপর আলোচনা ও বিতর্কে যাতে সবাই ভআগ নিতে পারে তার জন্য এই প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে। সাধারণত যেকোনও বিল পেশের আগেই এই নিয়ম মানা হয়।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ...
২০১৬ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের থেকে সামান্য বদল রয়েছে ২০১৯-এর প্রস্তাবিত বিলে। সূত্রের খবর, নতুন বিলে শর্ত দেওয়া হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে সমস্ত অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি বা জৈন ধর্মের যেই লোকেরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে ভারতে বসবাস করেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।
৫ বছর থাকলেই নাগরিকত্ব অমুসলিমদের
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেই এই নতুন সংশোধনী আনা হচ্ছে। আগে ভারতের নাগরিকত্ব পেতে কোনও শরণার্থীকে অন্তত ১১ বছর এদেশে থাকতে হত। গত বছর সেই সময়সীমা কমিয়ে ৬ বছর করা হয়েছিল। এবছর তা আরও কমানো হবে। নতুন বিল বলছে মাত্র ৫ বছর ভারতে থাকলেই নিঃশর্তে নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে অমুসলিমরা। এক্ষেত্রে, শুধুমাত্র নিজেকে অমুসলিম বলে হলফনামা জমা দিলেই কাজ মিটে যাবে।
সিএবি ও এনআরসির বিরোধিতায় উত্তাল উত্তর-পূর্ব
সিএবি ও এনআরসির বিরোধিতায় উত্তাল হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। তাদের দাবি, এই আইনের কারণে সেখান জনজাতির অবলুপ্তি ঘটতে পারে। সম্প্রতি উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ ও নাগাল্যান্ডের বিস্তৃর্ণ অংশে আপাতত এনআরসি হবে না। অসম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় ষষ্ঠ তপশিলের অন্তর্ভূক্ত স্বশাসিত এলাকাগুলিতে এনআরসি লাগু করা হবে না।
অসমের এনআরসিতে বাদ পড়েন ১৯ লক্ষ
অসমে এর আগে এনআরসি লাগু হয়েছে। নাগিকত্ব থেকে নাম বাদ পড়েছে প্রায় ১৯ লক্ষের। এদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু বাঙালি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস, নাগরিকত্ব বিলের পর এনআরসি লাগু হবে। ভয়ের কারণ নেই। বৈধ দেশবাসীরা নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়বেন না। দেশজুড়েই লাগু হবে এনআরসি।