ক্ষমতায় এলে কার্যকর হবে না নয়া নাগরিকত্ব আইন, অসমে বিজেপিকে বিঁধে সিএএ ইস্যুতে শান রাহুলের
কার্যকর হবে না সিএএ, অসমে বিজেপিকে আক্রমণ করে ভোট প্রচারে রাহুল গান্ধী
চলতি মাসের শেষেই পাঁচ রাজ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় শেষ মূহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে এক ফোঁটাও খামতি রাখতে চাইছে না শাসক বিরোধী কোনও পক্ষই। এদিকে এদিনই ডিব্রুগড়ে পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠানে বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এমনকি নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়েও করলেন বেনজির আক্রমণ। যা নিয়ে তীব্র চাপানৌতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আঙিনায়।
বিজেপিকে ঠেকাতে সিএএ-কেই হাতিয়ার রাহুলের
এদিকে ভোটের মুখে অসমে নাগরিকত্ব আইন যে জ্বলন্ত ইস্যু, তা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন সকলেই। এবার এই ইস্যুতে শান দিয়েই পদ্ম শিবিরকে ঘায়েল করতে মরিয়া কংগ্রেস। রাহুলের দাবি মুখের কথা নয়, ক্ষমতা এলে অসমে কোনও ভাবেই তিনি নাগরিকত্ব আইন কার্যকরী হতে দেবেন না। এছাড়াও অসমের চা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতেও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা যায় সোনিয়া পুত্রকে।
ঠিক কী প্রতিশ্রুতি দিলেন রাহুল ?
রাহুলের কথায়, " আমি মোদী নই যে মিথ্যে বলবো। বিজেপি চা শ্রমিকদের ৩৫১ টাকা দৈনিক মজুরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৬৭ টাকা করে দিচ্ছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি অসমে কংগ্রেসের জোট সরকার হলে চা শ্রমিকদের দৈনিক ৩৬৫ টাকা, সিএএ বাতিল, ৫ লক্ষ চাকরি অবশ্যই হবে।" একইসাথে এদিন সভায় ২০০ ইউনিট পর্যন্ত নিঃশুল্ক বিদ্যুৎ এবং গৃহিনীদের ২ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে।
কী বলছে অসমে বিরোধী জোটের সমীকরণ
এদিকে মূলত বিজেপিকে রুখতেই অসমে একজোট হল কংগ্রেস, এআইইউডিএফ, বাম সহ প্রধান বিরোধী দলগুলি। এই প্রথমবার একসঙ্গে এল কংগ্রেস ও আজমলের এআইইউডিএফ। এদিকে অসমে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের উপর বরাবরই আধিপত্য রয়েছে আজমলের । সেই রসায়নকে কাজে লাগিয়েই আসন্ন ভোটে বাজিমাত করতে চাইছে কংগ্রেস। জোটে রয়েছে সিপিআই, সিপিআইএম, সিপিআইএমএল ও নবগঠিত আঞ্চলিক গণমোর্চাও।
একজোট হয়েছে আরও প্রায় ৭টি ছোট দল
অন্যদিকে ভোটে লড়তে অসমের মাটিতে একজোট হয়েছে আরও প্রায় ৭টি ছোট দল। নাম দেওয়া হয়েছে অসম পিপলস ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স। এই জোটে থাকছে রাষ্ট্রীয় উলেমা কাউন্সিল, পলিটিকাল জাস্টিস পার্টি (পিজেপি), ভারতীয় গণ পরিষদ, মাইনোরিটি পিপলস পার্টি, ন্যাশানাল রোড ম্যাপ পার্টি অফ ইন্ডিয়া, সেকুলার ইনকিলাব পার্টি এবং আপন জনতা পার্টি। আসন্ন নির্বাচনে এই জোটও অসমে বড় ছাপ ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অনলাইন ট্রেডিংয়ের দুনিয়ায় নয়া দিগন্ত খুলে দিচ্ছে এই সংস্থা! হোলিতে রয়েছে একাধিক দুর্দান্ত অফার
মুখ্যমন্ত্রীর মদতেই সচিনের দৌরাত্ম্য, পদত্যাগ করুন উদ্ধব! শিবসেনাকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ বিজেপির