'নাগরিকত্ব আইন গান্ধী মতবাদী', পুরোনো উদাহরণ টেনে গান্ধী পরিবার ও কংগ্রেসকে তোপ মোদীর
৯ ডিসেম্বর প্রথমবার সংসদে পেশ করা হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের খসড়া। সেদিন সারাদিন ধরে সংসদে এই বিষয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয় অমিত শাহ ও বিজেপিকে।
৯ ডিসেম্বর প্রথমবার সংসদে পেশ করা হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের খসড়া। সেদিন সারাদিন ধরে সংসদে এই বিষয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয় অমিত শাহ ও বিজেপিকে। এই বিলের প্রস্তাবকে ভারতীয় সংবিধআন বিরোধী ও বিভাজনকারী আখ্যা দেয় বিরোধীরা। তবে বিরোধীদের হাঙ্গামা সত্ত্বেও বিলটি পাশ হয় লোকসভা ও রাজ্যসভায়।
আইনের বিরোধিতা করায় গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ মোদীর
সংসদে এই আইন নিয়ে আলোচনা হওয়ার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ বলেছিলেন যে এই আইনের প্রয়োজন পড়ত না যদি না ক্গেরস ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করত। যা নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। এদিকে আজ দিল্লি নির্বাচনের দামামা বাজার সঙ্গে সঙ্গে এই আইনকে মহাত্মা গান্ধী ও কংগ্রেসের মনোভাবের মেল বলে দাবি করলেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি এই আইনের বিরোধিতা করায় গান্ধী পরিবারকে আক্রমণও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
'এই আইন মহাত্মা গান্ধীর মতবাদের'
আজ রামলীলা ময়দান থেকে নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'এই আইন মহাত্মা গান্ধীর মতবাদের। মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, পাকিস্তানে থেকে যাওয়া সংখ্যালঘুরা যবেই ভারতে আসবে তাদের আমরা স্বাগত জানাব। আর এখন গান্ধীর পদবি ব্যবহার করা লোকেরা এই আইনের বিরোধিতা করছে।'
'৭০ বছর ধরে এই বিষয়টি আটকে ছিল'
তিনি আরও বলেন, '৭০ বছর ধরে এই বিষয়টি বাস্তবায়িত হয়নি। যারা ভ্রমে আছেন তারা আমার কথা বিশ্বাস নাই করতে পারেন। তবে আমি যাদের নাম নিচ্ছি তাদের কথা তো বিশঅবাস করুন। ২০০৩ সালে মনমোহন সিং সংসদে বলেছিলেন, আমাদের দেশে আসা বাংলাদেশের অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত। তাদের আস্থার কারণে তাদের এদেশে আসতে হচ্ছে, তাদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়া হোক।'
'ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে ওরা'
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, এই একই কথা বলেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট ও অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈও এক কথা বলেছিলেন। মোদী বলেন, 'পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু ও শিখদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে বহুবার চিঠি লিখএছিলেন অশোক গেহলোট। এই একইভাবে অসমে আসা বাঙালি হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তরুণ গগৈও। তিনি তো সে রাজ্যে ১৫ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আজ এরা সবাই তাদের দাবি বদলে ফেলেছে। এ কেমন রাজনীতি। এরা শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।'
কংগ্রেসকে আক্রমণ
মোদী বলেন, 'ওরা নিজেকে ভারতের ভাগ্য বিধআতা ভাবত। কিন্তু এখন যখন দেশের জনতা ওদের বাতিল করে দিয়েছে। তারা এখন দেশকে বিভক্ত করছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ভারতীয় কোনও ব্যক্তির জন্য নয়। ১৩০ কোটি মানুষের এই আইনের সঙ্গে কোনও যোগ নেই। এটি হিন্দু মুসলিম কারুর উপর প্রভাব ফেলবে না। এনআরসি নিয়েও কংগ্রেস ও বিরোধীরা ভুল বোঝাচ্ছে। এই এনআরসি তো কংগ্রেস এনেছিল। আমরা তো আনিনি। দেশএর ১০০ বছর পুরোনো রাজনৈতিক দল এত কিছু নিয়ে কথা বলছে। ভারতের আসল অর্থ বোঝাচ্ছেন সবাইকে। তবে শান্তির একটি বার্তা দিতে পারছেন না।'
এত ভয় কীসের, একের পর এক প্রশ্নে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মমতাকে আক্রমণ মোদীর