'ভগবানের মতো এসেছিলেন', হিংসার আগুনের মাঝে এক মুসলিম বৃদ্ধর আবেগঘন কাহিনি পুলিশের মুখে
চারিদিকে তখন হিংসার আগুন। চোখ মেললেই শুধু ধোঁয়া আর আগুনে দম বদ্ধ হয়ে আসার পরিস্থিতি। দাউদাউ করে জ্বলছে একের পর এক গাড়ি বাস। চারিদিকে প্রতিবাদী মানুষ। বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ পুলিশের দিকে ধেয়ে আসছিল।
চারিদিকে তখন হিংসার আগুন। চোখ মেললেই শুধু ধোঁয়া আর আগুনে দম বদ্ধ হয়ে আসার পরিস্থিতি। দাউদাউ করে জ্বলছে একের পর এক গাড়ি বাস। চারিদিকে প্রতিবাদী মানুষ। বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ পুলিশের দিকে ধেয়ে আসছিল। এরই মধ্যে পুলিশের উর্দি গায়ে পুলিশকর্মী অজয় কুমার নিজের কর্তব্য পালন করছিলেন। ততক্ষণে হিংসার রোষানলে পড়ে তাঁর দিকে ধেয়ে আসে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকর্মীকে ঘিরে হামলায় যখন উদ্যত বিক্ষোভকারীরা তখন 'ভগবানের বেশে' সেখানে উপস্থিত হন হাজি কাদির। এরপরের কাহিনি নিজের মুখে শোনালেন অজয় কুমার।
|
কী ঘটেছিল সেদিন?
এখনও পর্যন্ত গায়ে রয়েছে সেদিনের অশান্তির আঘাত। ক্ষত এখনও দগদগে অজয় কুমারের গায়ে। আর আঘাত গায়ে নিয়ে তিনি বলে চলেছেন, 'তিনি সেদিন ভগবানের মতো এসেছিলেন।' এরপর তিনি বলেন, 'তিনি যদি না আসতেন তাহলে আমি মরে যেতাম।'
|
আহত পুলিশকে বাঁচিয়ে তোলেন কাদির
অজয় কুমার সেদিনের অশান্ত পরিস্থিতির ঘটনা বর্ণনা করে জানান, 'এমন লোক অনেক কম পাওয়া যায়, সাহেব'। তিনি স্মৃতিচারণা করে জানান, কিভাবে তাঁকে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে কাদির নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে সুশ্রুষা করেছেন। বাড়ি নিয়ে গিয়ে তাঁকে জল ও পোশাক দিয়ে কাদির সেদিন পুলিশকর্মী অজয়কে সুস্থ করে তোলেন।
|
জ্বলন্ত সময়ে কাদিরের বক্তব্য
জ্বলন্ত সময়ের দলিল পেশ করেছেন কাদিরও। তিনি জানান, নামাজ পাঠ করার সময় তিনি শুনতে পান বাইরে প্রবল বিক্ষোভ চলছে। এরপরই বাইরে বেরিয়ে তিনি পুলিশ কর্মীর এমন অবস্থা দেখে, তাঁকে উদ্ধার করেন। 'অচেনা' পুলিশকর্মীকে তিনি বাঁচিয়ে তোলেন কেবলমাত্র 'মানবিকতার' জন্য। এমনই দাবি করেন কাদির।
প্রধানমন্ত্রী চান না, কিন্তু দিলীপ চান! সিএএ নিয়ে মমতাকে চ্যালেঞ্জ বিজেপি রাজ্য সভাপতির