বিজেপিতে বড় ভাঙন সিএএ নিয়ে! দলের নিচু তলায় কিসের চোরা স্রোত বইছে
বিজেপিতে বড় ভাঙন সিএএ নিয়ে! দলের নিচু তলায় কিসের চোরা স্রোত
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে অস্বস্তির মুখে পড়েছে বিজেপি। অসমের মতো একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে সরকারের তরফেও বেশ কয়েকজন বিজেপির হেডকোয়ার্টারে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে গতবছরই গেরুয়া শিবিরের হাতছাড়া হওয়া মধ্যপ্রদেশে বয়ে যাচ্ছে ভাঙনের চোরাস্রোত। আর ভাঙনের কারণ 'সিএএ','এনআরসি'।
'সংসদে বিল পাশের পর ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝাতে হচ্ছে মানুষকে, এমন সরকার দেখেছেন?'
মধ্যপ্রদেশ বিজেপিতে এই মুহূর্তে সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশ দল ছাড়ার পথে। সেখানে বিজেপির এক সংখ্যালঘু সমর্থকের প্রশ্ন, ' 'সংসদে বিল পাশের পর ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝাতে হচ্ছে মানুষকে , এমন সরকার দেখেছেন?' প্রসঙ্গত, সেই রাজ্যের সংখ্যালঘু সেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আদিল খান নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
দলে দলে সংখ্যালঘুরা ছাড়ছেন বিজেপি!
মধ্যপ্রদেশ বিজেপিতে দেখা যাচ্ছে নাগরিকত্ব ইস্যুতে দেশ জুড়ে তোলপাড়ের পর থেকে একটি নতুন ট্রেন্ড। সেখানে, দলে দলে দলের একাধিক সদস্য বিজেপি ছেড়ে দিচ্ছেন। আর যাঁরা ছাড়তে শুরু করেছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। সিএএ ইস্যুতেই এই দলত্যাগ বলে খবর।
দলত্যাগীদের দাবি কী?
যাঁরা পার্টি ছাড়ছেন, তাঁদের অনেকেরই দাবি, একটা সময় দল শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ও অটল বিহারী বাজপেয়ীর আদর্শে চলত। সেই সময় কোনও সম্প্রদায় ভিত্তিক ভেদাভেদ হতনা। তবে এখন হচ্ছে। সেই সময় সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলবার কথা বলা হয়েছে, তবে আজকের বিজেপি তা করছে না বলে মত অনেকের।
বিজেপির দাবি কী?
এদিকে, বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে , যাবতীয় অভিযোগই মিথ্যা। পদ্মশিবিরের দাবি ,এই দলের ভাঙনের নেপথ্যে রয়েছে কংগ্রেস ও বামেরা। মধ্যপ্রদেশ বিজেপি বলছে, তাদের দুই সদস্যকে কার্যত 'অপহরণ' করে নিয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। আর দল ভাঙাবার জন্যই এমনটা করছে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা।
'জেএনইউ -এর মুখোশধারীরা আসলে বামপন্থী, দলীয় সদস্যদেরই মারধর করেছে তারা', দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর