মোদীর সিদ্ধান্তের 'বিরোধিতা'! ভেঙে দেওয়া হল তেলেঙ্গানা সরকার
শেষ পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হল তেলেঙ্গানা সরকার। বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট বৈঠকে এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএস প্রেসিডেন্ট কে চন্দ্রশেখর রাও ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত জানাতে যান রাজ্যপাল ইএসএল নরসিমহন-এর কাছে। রাজ্যে তাড়াতাড়ি নির্বাচনেরও সুপারিশ করেছেন তিনি।

আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে তেলেঙ্গানার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় রাজনীতির কারণেই রাজ্যের নির্বাচনের সঙ্গে লোকসভার নির্বাচনের বিরুদ্ধে ছিলেন তিনি। সপ্তাহখানেক আগে থেকেই সরকার ভেঙে দেওয়ার খবর ছড়িয়েছিল। শেষে ছয় সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন কে চন্দ্রশেখর রাও।
নিজের ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে বৃহস্পতিবার রাজ্যভবনে রাজ্যপাল ইএসএল নরসিমহন-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কে চন্দ্রশেখর রাও।

রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন কে চন্দ্রশেখর রাওকে। মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রস্তাব গ্রহণও করেছেন।

টিআরএস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তেই থাকার পক্ষপাতি কে চন্দ্রশেখর রাও। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে বিজেপি বিরোধিতার সুবিধা পাবে তেলেঙ্গানার প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস। সেই কারণে রাজ্যের ক্ষমতা দখলে রাখতে আগেভাগেই বিধানসভা নির্বাচনে নিজের শক্তি যাচাই করে নিতে চান কে চন্দ্রশেখর রাও। কেননা বিধানসভা নির্বাচনে শুধুমাত্র রাজ্যের বিষয় নিয়ে নির্বাচন হয়ে থাকে।
রাজ্য গঠন হওয়ার পর ২০১৪-র প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে ১১৯ টি আসনের মধ্যে ৬৩ টি আসন দখল করেছিল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। অন্যদিকে রাজ্যে থাকা ১৭ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১১ টি আসন দখল করেছিল তারা। যদিও পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস, টিডিপি কিংবা ওয়াই এসআর কংগ্রেস থেকে বিধায়করা টিআরএস-এ যোগ দিয়েছেন। বিধানসভায় শক্তি বাড়ে টিআরএস-এর।
গত ১৫ দিনে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন কে চন্দ্রশেখর রাও। নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় কে কেশব রাওকে।
টিআরএস-এর পদক্ষেপ কিছু বুঝতে পেরে কংগ্রেসও আগেভাগেই নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে বুধবার।