মাসে মাত্র ১ টাকা প্রিমিয়াম, পেয়ে যান ২ লক্ষ টাকা বিমার সুবিধা! বিস্তারিত জানুন
করোনা পরিস্থিতিতে প্রত্যেকেই জীবন বিমার ( life insurance) গুরুত্ব বুঝেছেন। যদি আপনার আয় বেশি না হয়, বড় প্রিমিয়াম দিতে না পারেন, তাহলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বেশ কয়েক বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার চালু
করোনা পরিস্থিতিতে প্রত্যেকেই জীবন বিমার ( life insurance) গুরুত্ব বুঝেছেন। যদি আপনার আয় বেশি না হয়, বড় প্রিমিয়াম দিতে না পারেন, তাহলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বেশ কয়েক বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা (Pradhan Mantri Suraksha Bima Yojana ) , খুব কম প্রিমিয়ামে। মাসে ১ টাকা করে ১২ মাসে বারো টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। যদি কারও মৃত্যু হয় কিংবা পুরোপুরি অথর্ব হয়ে পড়েন, তাহলে সরকারি নমিনিকে ২ লক্ষ টাকা দেবে।
নিম্নচাপ এগোচ্ছে স্থলভাগের দিকে! উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জন্য আবহাওয়া দফতরের কোন সতর্কবার্তা
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল গরিব মানুষ যাঁরা, এই বড় প্রিমিয়ামের পলিসি কিনতে পারেন না, তাঁদের কাছে বিমান সুযোগ পৌঁছে দেওয়া। প্রথমের দিকে এই প্রকল্প শুধুমাত্র শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ ছিল। পরে তা সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়।
বয়সসীমা
১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সীরা প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার সুবিধা পেতে পারেন। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে, সেই ব্যক্তির কোনও ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। দুর্ঘটনা কিংবা খুন হয়ে গেলে পলিসি হোল্ডারের নমিনি বিমার টাকা পেয়ে যাবেন। এছাড়াও কেউ যদি পুরোপুরি অথর্ব হয়ে পড়েন, কর্মক্ষমতা না থাকে তাহলে এই বিমার সুবিধা পেতে পারেন। কিন্তু যদি কেউ আত্মহত্যা করেন, তাহলে পলিসি হোল্ডারের নমিনি দুলক্ষ টাকার সুবিধা পাবেন না। অস্থায়ীভাবে কর্মক্ষম হয়ে পড়লে এই বিমান সুবিধা পাওয়া যাবে না।
মনে রাখতে হবে যে কথা
এই বিমার সুবিধা পেতে গেলে বছরে ১২ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। যদি তা দেওয়া না হয়, তাহলে পলিসি রিনিউ করা হবে না। তবে অ্যাকাউন্ট থেকে অটোডেবিটের সুবিধা রয়েছে। যদি অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা না থাকে তাহলে এই পলিসি বাতিল হয়ে যাবে। যদি অ্যাকাউন্ট কোনও কারণে বন্ধও করে দেওয়া হয়, তাহলে পলিসি বাতিল হয়ে যাবে।
২০১৯-এ ১৫ কোটি মানুষ এর আওতায়
২০১৯-এর ৩১ মার্চে ১৫ কোটির বেশি মানুষ এই প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার আওতায় এসেছেন।