ঝাড়খণ্ডে সরকার পতনের আশঙ্কা! তিনটি বাসে অজানা গন্তব্যে ক্ষমতাসীন জোটের বিধায়করা
ঝাড়খণ্ডে সরকার পতনের আশঙ্কা! তিনটি বাসে অজানা গন্তব্যে ক্ষমতাসীন জোটের বিধায়করা
ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও শাসক বিধায়কদের তিনটি বাস রহনা হয়েছে। বাস তিনটিতে জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডির বিধায়করা রয়েছেন। পাহারায় রয়েছেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তবে বাস তিনটি কোথায় যাচ্ছে তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের বিধায়করা ছত্তিশগড়ে যেতে পারেন। শনিবার সকালে ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন জোটের বিধায়কদের ব্যাগ নিয়ে হেমন্ত সোরেনের বাসভবনে যেতে দেখা যায়। সেখান থেকে সকালে বিধায়কদের নিয়ে তিনটি বাস রহনা দেয়।
বিজেপি আতঙ্কে রাজ্য ছাড়া বিধায়করা!
ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের তরফে জানা গিয়েছে, জেএমএম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র শক্তি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরনকে অযোগ্য ঘোষণার পর বিজেপি শাসকদলের বিধায়কদের নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করতে পারে। তা এড়াতেই ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের ৪৯ জন বিধায়ককে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ বা ছত্তিশগড়ের কোনও রিসর্টে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই তিনটি রাজ্য মূলত অবিজেপি শাসিত এবং ঝাড়খণ্ডের বন্ধু রাজ্য হিসেবে পরিচিত।
গন্তব্য হতে পারে বাংলা বা ছত্তিশগড়
কংগ্রেস সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডদের বিধায়কদের ছত্তিশগড় ও বাংলায় রাখার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুই রাজ্যে অ-বিজেপি সরকার। এই দুই রাজ্যে ঝাড়খণ্ডের শাসক গোষ্ঠীর বিধায়করা নিরাপদে থাকতে পারবেন। তিনটি বিলাসবহুল বাস ও একটি এসকর্ট গাড়িতে বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হবে। সঙ্গে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ছত্তিশগড়ে বারমুডা, রায়পুর সহ তিনটি স্থান ও বাংলার বেশ কিছু জায়গাকে বিধায়কদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের বিধায়কদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, শনিবার রাতে কংগ্রেস বিধায়কদের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
সরকার পতনের সম্ভাবনা নেই!
সরকার জোটের তরফে জানানো হয়েছে, সরকার পতনের কোনও সম্ভাবনা নেই। ঝাড়খণ্ডের ৮১ সদস্যের বিধানসভায় ক্ষমতাসীন জোটের ৪৯ বিধায়ক রয়েছেন। বৃহত্তম দল হিসেবে জেএমএম-এর ৩০ জন বিধায়ক রয়েছেন। কংগ্রেসের ৮ ও আরজেডির একজন বিধায়ক রয়েছেন। বিধানসভায় বিজেপির ২৬ জন বিধায়ক রয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন জোটের বিধায়কদের ভাঙিয়ে বিজেপির সরকার গঠনের ইতিহাস রয়েছে। সেই সম্ভাবনা এড়াতে আগাম সতর্কতা হিসেবে ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন জোট বিধায়কদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ড বিজেপি মধ্যবর্তী নির্বাচনের ডাক দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইসের কাছে হেমন্ত সোরেনকে বিধায়ক হিসেবে অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ করে। এরপর থেকেই ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেয়। শুক্রবার রাজ্যপাল হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে বলে জল্পনা দেখা দেয়। তবে রাজভবনের তরফে এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে, সোরেন ক্ষমতাসীন জোটের বিধায়কদের তাঁর বাসভবনে শুক্রবার বৈঠকের ডাক দেন। শনিবারই তিনটি বিলাসবহুল বাসে ৪৯ বিধায়ককে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা যায়।
শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি কি প্রভাব ফেলেছে, ছাত্র সমাবেশেই অগ্নিপরীক্ষা দিতে তৈরি তৃণমূল কংগ্রেস