সন্ধ্যার অন্ধকারে ষাঁড়ের গুঁতোয় বাস পড়ল গিয়ে নদীতে, ওড়িশায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা
তালচের থেকে বাসটা রওনা দিয়েছিল কটকের উদ্দেশে। ১২১ কিলোমিটারের সামান্য বেশি এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে দুই ঘণ্টার সামান্য একটু বেশি সময়।
তালচের থেকে বাসটা রওনা দিয়েছিল কটকের উদ্দেশে। ১২১ কিলোমিটারের সামান্য বেশি এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে দুই ঘণ্টার সামান্য একটু বেশি সময়। সন্ধ্যার পরতে পরতেই কটকের কাছাকাছি চলে এসেছিল 'জগন্নাথ' নামে প্রাইভেট বাসটি।
কটকের ঢুকতে হলে মহানদী পার হতে হয়। বাসটি বিদ্যাধরপুর পার করে বনমালীপুর হয়ে মহানদীর পাড় ঘেঁষে পৌঁছেছিলে সানসেট পয়েন্টে। সেখান থেকে বাসটি ধবলেশ্বর রোডে এসে পড়ে। এখান থেকে সামান্য একটু এগোলেই মহানদী পার করার জন্য মধুসূধন ব্রিজ। সন্ধ্যার অন্ধকারে বাসটি সেতুতে উঠে পড়েছিল।
প্রবল গতিতে বাসটি সেতুর উপরে কয়েক বিগত এগোতে না এগোতেই চালক সামনে একটি ষাঁড় দেখতে পান। কিন্তু, ষাঁড়টাকে পাশ কাটানোর আগেই তার সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। আর বাসটি পাল্টি খেয়ে গিয়ে ব্রিজ থেকে ৩০ ফুট নিচে গিয়ে পড়ে।
একটাই রক্ষে বাসটি যেখানে পড়েছিল সেখানে জল ছিল না। নদীর অংশ হলেও এখানে চর ছিল। বাসটি সেখানে বিপুল শব্দ করে আঁছড়ে পড়ে। বাসটিতে ৩০ জন যাত্রী ছিল।
#UPDATE: 7 people dead after a bus carrying around 30 passengers fell from the Mahanadi bridge near Jagatpur in Cuttack today. Rescue operations underway. #Odisha pic.twitter.com/eLqaItdWlQ
— ANI (@ANI) November 20, 2018
নদীতে বাস পড়েছে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ওড়িশার রাফ টিম এবং দমকল বাহিনী। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ-প্রশাসন এবং দমকলের উচ্চ আধিকারিকরা।
একে একে সমস্ত যাত্রীকে দুমড়ে যাওয়া বাস থেকে বের করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে ৭ জন-এর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকিরা আহত। এদের মধ্যে অনেকের আঘাত গুরুতর বলে জানানো হয়েছে। নদীর জলে কেউ ভেসে গিয়েছেন কি না তা দেখতে রাতেই বোট নামানো হয়। ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতাপ জেনা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়েও দেখেন।