'আমাকে ঘৃণা করুন, কুশপুত্তলিকা জ্বালান, দেশের সম্পত্তি জ্বালাবেন না ',মোদীর গর্জন দিল্লি থেকে
এনআরসি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কেবলমাত্র অসমেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাকি দেশের কোথাও এনআরসি নিয়ে কিছুই হয়নি। কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবেনা। দিল্লির রামলীলা ময়দানে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচারের প্রথমদিনেই রীতিমতো গর্জন উঠে আসে নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যে। এদিন তিনি এনআরসি থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব ইস্যুতে একাধিক মন্তব্য করে দেশকে অশান্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর বার্তা দেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক মোদী এদিন কী কী বলেন।

'দেশে ভেদাভেদের চেষ্টা করেছি.. এমন তথ্য থাকলে সামনে আনুন '
দিল্লির রামলীলা ময়দানে মোদর হাইভোল্টেজ বৈঠকে প্রথম মুহূর্ত থেকেই কার্যত তিনি শক্তিশেল তাক করেছিলেন বিরোধী শিবিরের দিকে। তিনি এদিন সাফ জানান, 'যাঁরা মিথ্যা প্রচার করছেন, তাঁদের আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি , যান, আমার সমস্ত কাজ খতিয়ে দেখুনষ যদি কোথাও দেখেন যে আমি ভেদাভেদ করেছি, তাহলে তা দেশের সকলের সামনে আনুন।'

'আমার কুশপুত্তলিকা পোড়ান , দেশের নয়'
এদিন সকলকে শান্তি বজায় রাখাবার বার্তা দিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'আমার ঘৃণা করুন। পোড়াতে হলে আমার কুশপুত্তলিকা পোড়ান। তবে কোনও মতেই গরীবের রিক্সা জ্বালাবেন না।' তিনি বলেন, চাইলে মোদীকে ঘৃণা করুক বিরোধিরা তবে যেন কোনও মতেই দেশের সম্পত্তি জ্বালানো না হয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'গরীব অটোওয়ালাদের মেরে কী পাচ্ছেন আপনারা?'

'কখনও ভেদাভেদ করিনি'
এদিন তিনি বলেন, ' আমরা কোনও দিনই আলাদা নজরে কাউকে দেখিনি ধর্মের ভিত্তিতে। হিন্দু, মুসলিম, শইখ, খ্রিস্টান সকলেই 'আন অথারাইজড কলোনাইজ বিল' থেকে লাভ পেয়েছেন। এখানে যাঁরাই থাকেন, তাঁরা সুবিধা পেয়েছেন। আমার এটা কেন করব? কারণ দেশের প্রতি আমাাদের আন্তরিকতা রয়েছে বলেই আমরা সকলের জন্য কাজ করি। '

'বৈচিত্রের মধ্যে একাত্ম'
মোদী এদিনের সভা থেকে বলেন, 'দেশের বৈচিত্রের মধ্যে একাত্মতাই বারতের বৈশিষ্ট' । পাশপাশি তিনি সদর্পে ঘোষণা করেন , ভারতের মাটিতে যে সমস্ত মুসলিমরা জন্মেছেন তাঁদের কোথাও যেতে হবেনা। তাঁদের সঙ্গে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কোনও যোগ নেই।