লকারেই তো রেখেছেন প্রাণের ধন, গাজিয়াবাদের এই ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় আপনার ঘাম ছুটতে পারে
যে সে হামলা নয়, এক্কেবারে ব্যাঙ্কের লকাররুমে হামলা। যেন সিধেল চোরেদের দল বামাল সমেত হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে। এমন রোমহর্ষক চুরিতে চুল খাড়া হয়ে গিয়েছে গাজিয়াবাদ পুলিশের। চোরেদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
ব্যাঙ্কে চুরি- ডাকাতির অনেক খবরই দেখেছেন, শুনেছেন। কিন্তু ব্যাঙ্কের দেওয়ালে একেবারে দু-ফুটের গর্ত করে ত্রিশটি লকারের মধ্যে থাকা যাবতীয় সব কিছু নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আপনার মনে ব্যাঙ্কের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন জাগাতে বাধ্য। খোয়া যাওয়া জিনিসের পরিমাণ বেশ কয়েক কোটি টাকা। ঘটনটি ঘটেছে,উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের রাষ্ট্রায়াত্ত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মোদীনগর শাখায়। সন্দেহ গত সপ্তাহ শেষের কাজের পর কোনও এক সময় কাজটি করেছে চোরেরা।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মোদীনগর শাখাটি আটান্ননম্বর জাতীয় সড়কের ওপর পরিত্যক্ত রবার কারখানার পাশে একটি ভাড়া বাড়িতে। একটি মাত্র দেওয়ালের মাধ্যমে রবার কারখানার ফাঁকা অফিস এবং ব্যাঙ্কটি আলাদা করা রয়েছে। সেখানেই রয়েছে ব্যাঙ্কের স্ট্রংরুম। চোরেরা প্রথমে ফাঁকা অফিসে ঢোকে। পরে মেঝে থেকে প্রায় ছয় ফুট উঁচুতে প্রায় নয় ইঞ্চি পুরু ওই দেওয়াল কাটে। দেওয়ালের অপর দিকেই ছিল লকার।
সোমবার সকল নটা পঁয়তাল্লিশ নাগাদ, ব্যাঙ্কের হেড ক্যাশিয়ার অজয় কুমার এবং অপর কর্মী অনিল ভার্গব স্ট্রংরুমের সামনের স্টিলের দরজা খুলতেই ঘটনাটি নজরে আসে। স্টিলের দরজাটি খোলার পর ভিতরে মোটা গ্রিলের তৈরি আরেকটি দরজা। সেই দরজাটিই ভিতরে খোলা অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। খোলা ছিল বেশ কয়েকটি লকারও।
ব্যাঙ্কের চারশো পঁয়ত্রিশটি লকারের মধ্যে ত্রিশটি লকার খুলতে সক্ষম হয় চোরেরা। আরও বেশ কয়েকটি ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে ছিয়ানব্বইটি লকারে এই মুহুর্তে কোনও কাজ ছিল না। চোরেরা স্ট্রংরুমের মধ্যে থাকা একটি বন্দুক নিয়ে গেলেও, ব্যাঙ্কের ভল্টে থাকা টাকায় তারা হাত দেয়নি।
ব্যাঙ্কটিতে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। আর স্ট্রংরুমটি বন্ধ করা হয়েছিল শুক্রবার সন্ধে ছটা নাগাদ। এরপর শনি ও রবিবার ব্যাঙ্কটি বন্ধ ছিল। স্ট্রংরুমের মধ্যে সিসিটিভি ছা়ড়াও রয়েছে সিকিউরিটি অ্যালার্ম। ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার এসকে পাঞ্চোলি জানিয়েছেন, পুলিশের টহলদারির অপর ভরসা করেই চলে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ওই শাখা।
ব্যাঙ্কের স্ট্রংরুমে হানার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান, গাজিয়াবাদের পুলিশ আধিকারিকরা। ফরেনসিক টিমের সঙ্গে যায় ডগ স্কোয়াডও। জায়গাটি থেকে হাতের ছাপও সংগ্রহ করা হয়।