বাড়ির গায়ে ১১টি পাইপ ও ১১টি রড কেন, দিল্লির বুরারিকাণ্ডে এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
বুরারি মৃত্যু রহস্যে, দেওয়ালে ১১ টি পাইপ এবং গেটে ১১ টি রড থাকা নেহাতই সমাপতন।
বুরারি মৃত্য়ু রহস্যে দেওয়ালে ১১টি পাইপের রহস্যের সমাধান হল। জানা গেল ওই ঘটনা নেহাতই কাকতালীয়। এর পেছনে কোন পরিকল্পনা ছিল না। সম্প্রতি ভাটিয়াদের বাড়িতে একটি লোহার গেট বসানো হয়েছিল, যেখানেও ১১ টিই লোহার শিক ছিল। কিন্তু সেটির ক্ষেত্রেও ললিত ভাটিযা বা তাদের পরিবারের কারও কোনও নির্দেশ ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।
এই রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনায় ১১ সংখ্যাটা ঘুরে ফিরে এসেছে। মৃত পরিবারের সদস্যদের সংখ্যাও ১১ হওয়ায়, দেওয়ালে এলোমেলোবাবে বসানো ১১ টি পাইপ ও বাড়ির গেটে ১১টি লোহার রড নিয়ে পুলিশের মনে সন্দেহ ছিল। ভাটিয়াদের অতিলৌকিক আচারানুষ্ঠানের সঙ্গে ওই দেওয়ালের পাইপ ও গেটের রডের কোনও সম্পর্ক আছে কিনা সে বিষযে তদন্ত করছিল পুলিশ।
কিন্তু ভাটিয়াদের তিনতলা বাড়িটি সংস্কারের দায়িত্বে থাকা কনট্রাক্টর কুনওয়ার পাল সব জল্পনার অবসান ঘটালন। তিনি জানালেন, দেওয়ালের ওই ১১টি পাইপ থাকার ঘটনা নেহাতই কাকতালীয়। এর আগে ললিতদের বাবা জীবিত থাকা কালীন কুনওয়ারি ভাটিয়াদের বাড়িটি তৈরি করার দায়িত্বে ছিলেন। তাই সংস্কারের সময়ও তাঁকেই খবর দিয়েছিলেন ললিত ভাটিয়ারা।
কুনওয়ারের দাবি ললিত ভাটিয়া আলো বাতাস চলাচলের জন্য পাইপ দিয়ে ঘুলঘুলির মতো বানিয়ে দিতে বলেছিলেন কুনওয়ারকে। সেই মতো ওই ১১টি পাইপ বসানো হয়েছিল ওই দেওয়ালে। কিন্তু কুনওয়ারের দাবি মোট কটি পাইপ বসাতে হবে, সে নিয়ে ললিতের কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশ ছিল না। এমনকী ওখানে যে ১১টিই পাইপ লাগানো হয়েছে সে হিসেব ছিল না কুনওয়ারের কাছেও। পাইপের কাজ শেষ হওয়ার পর যা কিছু বেচে ছিল তা ওখানে লাগানো হয়েছিল। এই ঘটনার পর যখন ওই ১১টি পাইপ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে চর্চা শুরু হয়, তখনই তিনি পাইপের সংখ্যা সম্পর্কে জেনেছেন বলে দাবি কুনওয়ারের।
লোহার গেটের ১১ টি রডের ক্ষেত্রেও ভাটিয়াদের নির্দেশ ছিল না বলে জানিয়েছেন অনিল শর্মা। তিনি স্থানীয় ওয়েল্ডিং কর্মী। তাঁকেই ভাটিয়ারা বাড়ির প্রধান গেটের সংস্কারের জন্য নিয়োগ করেছিলেন। অনিল জানান, ললিত তাঁকে বলেছিলেন একটি মজবুত ফটক চাই। কিন্তু তাতে কটি শিক থাকবে, এরকম কিছু আলাদা করে বলা হয়নি অনিলকে। অনিল দাবি করেছেন, গেটে ১১টি রড লাগানোর সিদ্ধান্ত একেবারেই তাঁর নিজস্ব। এই দুই রহস্যের সমাধান হওয়ায় বুরারি মৃত্যু রহস্যের জট খোলায় অনেকদূরই এগিয়ে গেল পুলিশ।