হল না ইদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা, পুলওয়ামা থেকে অপহৃত সেই সেনা জওয়ানের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার
জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলা থেকে অপহৃত সেনা জওয়ানের গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি এর আগে হিজবুল কমান্ডার সমীর ভাট ওরফে সমীর টাইগার-এর এনকাউন্টারের ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
ইদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা হল না কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলা থেকে অপহৃত সেনা জওয়ান আওরেঙ্গজেবের। বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি ফেরার সময়ই পুলওয়ামার কালামপুরা এলাকা থেকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল জঙ্গিরা। ওইদিনই পুলিশ তাঁর গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ উদ্ধার করেছে । আওরেঙ্গজেব এর আগে কুখ্যাত হিজবুল কমান্ডার সমীর টাইগারের এনকাউন্টারে জড়িত ছিলেন।
বৃহস্পতিবারই পুলিশের এক তদন্তকারী দল কালামপুরা থেকে দশ কিলোমিটার দূরে গুস্সু গ্রামে তাঁর মৃতদেহ আবিষ্কার করে। পুলিশ জানিয়েছে ওই জওয়ানের ঘাড়ে ও মাথায় গুলির ক্ষত রয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে আওরেঙ্গজেব ৪ জম্মু ও কাশঅমীর লাইট ইনফ্যান্ট্রির সদস্য ছিলেন। শোপিয়ান জেলার শাদিমার্গ এলাকায় ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস-এর শিবিরে নিযুক্ত ছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে ইদের ছুটি উপলক্ষ্যে বাড়ি রাজৌরির বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে সকাল ৯টা নাগাদ একটি স্থানীয় গাড়িতে তুলে দেয়। গাড়িটিতে তাঁর শোপিয়ান অবধি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কালামপুরার কাছে পথ আটকায় জঙ্গিরা এবং তুলে নিয়ে যায় ওই জওয়ানকে।
তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই এক ইফতার পার্টিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময়, জঙ্গিদের গুলিতে খুন হন রাইসিং কাশ্মীর পত্রিকার সম্পাদক সুজাত বুখারি। তারপরই আবার আওরেঙ্গজেবের মৃত্যু সংবাদ আসায় ওমর টুইটারে লেখেন, 'ভয়ঙ্কর দিনে আরও একটি খারাপ খবর'।
Another piece of terrible news to add to an already horrible day. May Aurangzeb rest in peace. Allah Jannat naseeb karay. https://t.co/n2hjzT0R7c
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) June 14, 2018
নরেন্দ্র মোদীর সরকার কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনা ও যৌথবাহিনীকে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। সমীর টাইগারের এনকাউন্টার সেনাবাহিনীর বড় সাফল্য ছিল। তার মৃত্যুতে হিজবুল বড় ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল। ওই এনকাউন্টারে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন আওরেঙ্গজেব। সম্ভবত সেই কারণেই তাঁকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে এখনও কোনও গোষ্ঠী ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।