শাহিনবাগেই থামেনি বুলডোজার, নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি অবৈধ নির্মান ভাঙছে কেন্দ্র, বিক্ষোভ আপ-এর
গতমাসের ঘটনা, দিল্লিতে বুলডোজার বিতর্কে উত্তপ্ত হয়েছিল গোটাদেশ। অনেকে যেমন সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন, তেমনই অনেকে আবার সমালোচনার ঝড়ও তুলেছিলেন। তবে সেই সমালোচনায় বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি সরকারি উদ্যোগে। চলতি মাসে ফের শুরু হয়েছে বেআইনি দোকান, ঘরবাড়ি উচ্ছেদ প্রক্রিয়া। শাহিনবাগের পর এবার দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি, মঙ্গলপুরীতে জবরদখল করে রাখা সরকারি জমি উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হল কড়া নিরাপত্তায়।

আম আদমী পার্টিী বিক্ষোভ!
সরকারের তরফ থেকে এই ধরনের কড়া উদ্যোগ নেওয়া হলে বিতর্ক, বিক্ষোভ হওয়া স্বাভাবিক, হয়েছেও তাই। ঘটনাস্থলে প্রতিবাদ দেখানোর পর আম আদমি পার্টির বিধায়ক মুকেশ আলাওয়াতকে আটক করেছে পুলিশ৷ মুকেশ বলেন, ' যেখানে সাধারণ মানুষরাই এলাকাটি ফাঁকা করে দিয়েছে। পুলিশ বুলডোজারের ব্যবহার কেন করছে? আমরা এর বিরুদ্ধে, এটা বন্ধ হওয়া উচিত। আগে ওরা প্রমাণ করুক, এই জমি দখল করা হয়েছে।'

কী বলছে দিল্লি পুলিশ?
দিল্লির ডিসিপি সমীর শর্মা অবশ্য দাবি করেছেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মানুষজন সহযোগিতা করেছেন। তিনি আরও বলেন, 'দখলকারীদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মাঝেই স্থানীয় বিধায়ক এসে প্রশ্ন করেন, জেসিবি ব্যবহার করার তাৎপর্য কী? যাতে পরবর্তীতে কোনও সমস্যা না হয়, আমরা ওঁকে আটক করি।'

শাহিনবাগেও বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল বুলডোজার!
গত ৪ঠা মে থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। সোমবার দিল্লির শাহিনবাগে এই উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। সেখানেও বুলডোজার ব্যবহার করা হয়৷ ২০১৯ সালে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের এপিসেন্টার ছিল শাহিনবাগ। সেখানে এই উদ্যোগ নেওয়া হলে বিক্ষোভ শুরু হয়। কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির সদস্য এবং সাধারণ মানুষরা স্লোগান দিতে থাকেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে। অবশেষে কাজ সম্পন্ন না করেই ফিরে যেতে বাধ্য হয় বুলডোজার৷
৪৫ দিন গরমের ছুটি কেন? রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের