সুপ্রিম কোর্ট মানা করলেও কেন জাহাঙ্গীরপুরীতে থামেনি বুলডোজার, সাফাই দিলেন মেয়র
বুলডোজারের ধাক্কায় টালমাটাল জাতীয় রাজনীতি। সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালত বুলডোজার দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসায় অভিযুক্তদের বাড়িঘর ধ্বংসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজধানী দিল্লিতে থামেনি বুলডোজার। সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে, এখনও মসজিদের বাইরের অবৈধ দোকান ভাঙছে বুলডোজারগুলি। দিল্লির মিউনিসিপাল কর্পোরেশন অবশ্য নিজেদের তরফে যুক্তি খাড়া করেই দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ এখনও তাদের হাতে এসে পৌঁছয়নি।
উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র রাজা ইকবাল সিং অবশ্য জানাচ্ছেন, এই বুলডোজার অভিযানের সঙ্গে হিংসার কোনও সম্পর্কই নেই। অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে রেখেছিল যারা, তাদের ঘরবাড়ি, দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এটা তাঁদের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'আমরা সমগ্র দিল্লির মানুষকে বলতে চাই, কোথাও কোনও বেআইনি ঘরবাড়ি, দোকান তৈরি করে থাকলে সরিয়ে দিন। এরপরে প্রতিটি বেআইনি নির্মাণই ভাঙা হবে।'
গত শনিবার হনুমানজয়ন্তীর মিছিলে ইঁট, পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছিল দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের নামাজ পড়ার সময় তারস্বরে গানবাজনা করে মিছিল করা নিয়ে শুরু হয়েছিল বচসা। এই অঞ্চলে অবস্থিত মসজিদের পাশেই এদিন বুলডোজারের ধাক্কায় ভেঙে দেওয়া হয় ২০টি দোকান। রাজা ইকবাল সিং জানিয়েছেন, 'শুধুমাত্র অস্থায়ী দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের রোজের কাজ। এর ফলে রাস্তা ফাঁকা হবে, মানুষও খুশি হবে।'
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদনকারীরা এই বুলডোজার অভিযানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার পরই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হচ্ছে। তাঁরা এও অভিযোগ করেছিলেন যে, দিল্লির মিউনিসিপাল কর্পোরেশন হনুমান জয়ন্তীর ঘটনা হওয়ার আগে এবং এই সাফাই অভিযানের আগে কাউকে নোটিশ ধরায়নি।