পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাঙ্ক্ষিত, মোদী ব্রাত্য, শাহি ইমামের সিদ্ধান্তে বিতর্ক
দিল্লির জামা মসজিদের শাহি ইমামের পদটি খুবই মর্যাদাপূর্ণ। এখনকার শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি এ বার এই পদে বসাতে চান নিজের ছেলেকে। বয়সের কারণে নিজে সরে দাঁড়াতে চান। এই উপলক্ষে আগামী ২২ নভেম্বর একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দেশ-বিদেশের অসংখ্য গণমান্য ব্যক্তি হাজির থাকবেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সাদর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাজনাথ সিং, হর্ষবর্ধন, অরুণ জেটলি প্রমুখের কাছেও নিমন্ত্রণপত্র গিয়েছে। অথচ নরেন্দ্র মোদীকে ডাকা হয়নি। এই সিদ্ধান্তকে 'ভারত-বিরোধী' পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন নরেন্দ্র মোদীর ভক্তরা।
কেন আপনি ডাকছেন না আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে? শাহি ইমামের জবাব, "২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় ওঁর ভূমিকা ভারতের মুসলিমরা ভোলেনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও এমন কিছু করেননি যা দেখে মুসলিমরা বিশ্বাস করবেন নরেন্দ্র মোদীকে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন উনি। বন্ধুত্ব করার দায়িত্ব শুধু আমাদের নয়। নরেন্দ্র মোদীকেও বুঝতে হবে আমাদের যন্ত্রণার কথা। মন জিততে হবে মুসলিমদের। তবেই অবিশ্বাস দূর হবে।"
কিন্তু গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদী ক্লিনচিট পেয়েছেন আদালতের কাছ থেকে। তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। সৈয়দ আহমেদ বুখারি বলেন, "দেশের বিচারব্যবস্থাকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আদালত অনেক ক্ষেত্রে তো তার পুরনো রায় খারিজ করে নতুন রায় দেয়। নিজেদের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা করে। এমন বহু উদাহরণ রয়েছে।"
বিজেপি সূত্রে খবর, নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং 'অপমানিত' বোধ করেছেন। তিনি ২২ নভেম্বরের অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। অরুণ জেটলির মতো মন্ত্রীরাও একই পথে হাঁটতে পারেন বলে খবর।