কেন্দ্রীয় বাজেট : প্রতিবাদের নামে হিংসা দেশকে দুর্বল করে, সিএএ প্রসঙ্গে বললেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ
শুক্রবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের সূচনা করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। অধিবেশন সূচনা করার ভাষণে সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত অধিবেশনে সংসদে পাশ হওয়া সিএএ নিয়ে এদিন বলতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বলেন, 'সংসদের উভয় কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি পাশ হওয়ায় আমি খুশি।' পাশাপাশি এই আইন বিরোধী বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'প্রতিবাদের নামে কোনও ধরণের সহিংসতা সমাজ ও দেশকে দুর্বল করে দেয়।'
|
'নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি পাশ হওয়ায় আমি খুশি'
আজ সংসদ ভবনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'সংসদের উভয় কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি পাশ হওয়ায় আমি খুশি। এই নীপিড়িত মানুষগুলিকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। আমি খুশি যে, আইনটি কার্যকর করার মাধ্যমে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।' রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যের পরেই সংসদে অট্টরব করেন বিজেপি সাংসদরা।
'প্রতিবাদের নামে সহিংসতা সমাজ ও দেশকে দুর্বল করে'
এরপর রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমার সরকার স্পষ্টতই মত প্রকাশ করে জানিয়েছে যে পারস্পরিক আলোচনা এবং বিতর্ক গণতন্ত্রকে আরও জোরদার করে। একই সাথে প্রতিবাদের নামে কোনও ধরণের সহিংসতা সমাজ ও দেশকে দুর্বল করে দেয়। রামজন্মভূমি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে যেই পরিপক্বভাবে দেশবাসী আচরণ করেছিলেন তা প্রশংসনীয়।'
দেশের ধর্মীয় ঐক্যতা
দেশের ধর্মীয় ঐক্যতা নিয়ে বলতে গিয়ে করতারপুর করিডোর ও হজ যাত্রীদের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, 'আমার সরকার করতাপুর সাহিব করিডোরটি রেকর্ড সময়ের মধ্যে তৈরি করেছিল। গুরু নানকদেবজির ৫৫০তম প্রকাশ পার্ব উপলক্ষে এটি জাতির উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করেছে সরকার। এছাড়া আমার সরকারের বিশেষ অনুরোধে, সৌদি আরব অভূতপূর্বভাবে হজ কোটা বৃদ্ধি করেছে। এর কারণে এবার রেকর্ড সংখ্যক ২ লক্ষ ভারতীয় মুসলমান হজো গিয়েছিলেন। ভারত প্রথম দেশ যেখানে হজের পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল ও অনলাইন করা হয়েছে।'
সংসদ দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা
এর আগে সাংসদদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখা শুরু করার সময়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমাদের সংবিধান এই সংসদ এবং এই সভায় উপস্থিত প্রতিটি সদস্যের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে যে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণ করবে। এবং জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করবে। এই দশকটি দেশের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত ৭ মাসে সংসদ কাজের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাণদণ্ড স্থাপন করেছে।'