বাজেট ২০২৩: ১ তারিখ বাজেট, মোদী সরকারের কাছে কি চাইছে আমজনতা?
মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে কী বলছে মোদী সরকার জেনে নিন
আর এক দিনের অপেক্ষা। তার পরেই বহু প্রতিক্ষীত বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এটাই দ্বিতীয় মোদী সরকারের দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই এবারে যে একটু বেশিই আম জনতার খবর রাখবে মোদী সরকার তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ পরের বছরেই লোকসভা ভোট। কিন্তু আম জনতা কী চাইছেন মোদী সরকারের কাছ থেকে সেটা একটা বড় বিষয়। মোদী সরকারের কাছ থেকে খুব সাদারণ চািহদা আম জনতার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন বিষয়গুলি তাঁরা চাইছেন বেশি করে।
বাজেট ২০২৩
আবারও সেই বহু প্রতীক্ষিত দিন আসছে। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আজই সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিবছরই বাজেট অধিবেশনের আগে হালওয়া সেরিমনিও হয়ে গিয়েছে। বাজেট তৈরি হয়ে গিয়েছে। ফাইল বন্দি হয়ে সেগুলি এখন ট্রাঙ্কে ভরে নিয়ে আসা হবে সংসদে। আর সেই সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ। কারণ এই বাজেটের উপরেই যেমন আম জনতার ভাল মন্দ নির্ভর করবে তেমনই মোদী সরকারের ভোট ব্যাঙ্কও নির্ভর করবে।
কী চাইছে সাধারণ মানুষ
বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষ বেশি আগ্রহী থাকে তার অন্যতম কারণ বাজেটের সরাসরি প্রভাব পড়ে তাঁদের উপরে। সেকারণেই আমজনতা কী ভাবছেন বাজেট নিয়ে সেটাই আসল বিষয়। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয়টা থাকে রেল নিয়ে এবার নাকি রেলের পরিষেবা উন্নত করা এবং পরিচ্ছন্নাতার বিষয়টি যাতে বাজেটে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় সেটা চাইছে সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম কমিয়ে নিয়ে আসা হয় যাতে সেটাই দাবি করছেন তাঁরা।
অত্যাধুনিক ট্রেন পরিষেবা
সাধারণ মানুষ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, সেমি বুলেট ট্রেন নিয়ে বেশি আগ্রহী। ইতিমধ্যেই দেশে একাধিক জায়গায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মত ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গও সেই সুবিধা পেয়েছে। দেশের সব প্রান্তেই মানুষ চাইছে এই ধরনের ট্রেন চালু হোক বেশি করে। তারা আরও বেশি করে সেমি বুলেট ট্রেন চাইছেন যাতে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছনো আরও দ্রুত গতির হয়। সেই সঙ্গে ট্রেনে পরিচ্ছন্নতাও দাবি করেছেন তাঁরা। কারণ ভারতীয় রেলের সবচেয়ে সমস্যার বিষয় হল পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে ট্রেনে খাবারের মান আরও উন্নত করার কথা বলছেন তাঁরা।
কী বলছেন গৃহিনীরা
বাজেটের সরাসরি প্রভাব যাঁদের উপর সবচেয়ে বেশি পড়ে সেটা হল গৃহীনিরা। কারণ ঘরের হেঁসেলের চাবি কাঠি তাঁদের কাছেই থাকে। কিন্তু গত কয়েক বছরে রান্নার গ্যাসের দাম এবং খাদ্য শস্য, তেল, চালডাল, সবজি এমনকী মাছ মাংসের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে হেঁসেল সামাল দেওয়া কঠিন অবস্থা হয়ে দাঁড়িেয়ছে। সেকারণে এবারে সব গৃহিনীরাই চাইছেন মুদ্রাস্ফীতিতে রাশ টানুন মোদী সরকার। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে যেন নিয়ন্ত্রণ আনা যায়। সেকথা মাথায় রেখে যাতে মোদী সরকার বাজেট তৈরি করেন সেই আবেদনই রাখছেন তাঁরা।
Union Budget 2023: ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পরিবর্তন! যা সাধারণ মানুষের ওপরে বড় প্রভাব ফেলবে