চিন্তা বাড়ল মায়াবতীর, দিল্লি থেকে কার্যত মুছে যেতে বসেছে বিএসপি
চিন্তা বাড়ল মায়াবতীর, দিল্লি থেকে কার্যত মুছে যেতে বসেছে বিএসপি
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আপ ঝড়ে ইতিমধ্যেই ধুয়ে মুছে সাফ প্রায় সব দলই। বিজেপি কিছুটা লড়াই দিলেও জমানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার পথে কংগ্রেস, বহুজন সমাজবাদী পার্টি সহ একাধিক দলের।
বিএসপির দখলে ১ শতাংশেরও কম ভোট
সূত্রের খবর, বর্তমানে দিল্লে মায়াবতীর বিএসপির দখলে ১ শতাংশেরও কম ভোট। পাশাপাশি ১৯৯৩ সালের পপর দিল্লিতে বিএসপির এটাই সবথেকে খারাপ ফল বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের। দিল্লিতে এই মুহূর্তে সিএএ বিরোধী শাহিনবাগের আন্দোলন হোক বা কেজরিওয়ালের ‘জল-বিদ্যুত্' প্রকল্পের হাওয়ায় বিএসপি মাত্র ০.৫৮ শতাংশ নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে বলে জানা যাচ্ছে।
১৯৯৮ সালেও ৫.৭৬ শতাংশ ভোট পায় বিএসপি
১৯৯৩ সালে দিল্লির প্রথম বিধানসভা ভোটে ৫৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বিএসপি। ভোট পেয়েছিল প্রায় ১.৮৮ শতাংশ। অন্যদিকে ১৯৯৮ সালে ৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেও প্রায় ৫.৭৬ শতাংশ ভোট ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল বিএসপি।
ছবি কিছুটা বদলায় ২০০৭ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের পর
এদিকে ছবি কিছুটা বদলাতে দেখা যায় ২০০৭ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের সময় থেকেই। সেই সময় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিএসপি ২০৬ টি আসনে জয় লাভ করলে দিল্লিতে প্রায় ১৪.০৫ শতাংশ ভোট পেতে দেখা যায় মায়াবতীর দলকে। একই সাথে দুটি আসনে জয়লাভেও সমর্থ হয় বিএসি।
বিভিন্ন বর্ণ ও সম্প্রদায়ের ৭০ জন প্রার্থী দেয় বিএসপি
এবারের ভোটে দিল্লিতে বিভিন্ন বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ৭০ জন প্রার্থী দেয় বিএসপি । বর্তমানে দিল্লিতে ২০ লক্ষেরও বেশি দলিতদের জন্য ১২টি আসনও সংরক্ষিত রয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিল্লির বিএসপি প্রধান লক্ষ্মণ সিং সংবাদমাধ্যমে বলেন, "কেবল দলিতরা যদি আমাদের পক্ষে ভোট দিতো তবে আমাদের আর কারও প্রয়োজন হত না।"