বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-এর জন্য সুখবর! নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানাল মোদী ক্যাবিনেট
ষ্ট্রায়ত্ত দুই টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএল কর্মীদের জন্য সুখবর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, দুই সংস্থার কোনওটাকেই বিক্রি করা হবে না কিংবা বন্ধ করা হবে না।
ষ্ট্রায়ত্ত দুই টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএল কর্মীদের জন্য সুখবর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, দুই সংস্থার কোনওটাকেই বিক্রি করা হবে না কিংবা বন্ধ করা হবে না। দুটিকে সংযুক্ত করা হবে। এদিনের ক্যাবিনেট বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ২ টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-এর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় ক্যাবিনেটের কাছে প্রস্তাব পেশ করেছিল টেলিকম দফতর। ৭৪ হাজার কোটির সেই ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনায় ২২ হাজার কোটি দেওয়া হবে ফোর ডি স্পেকট্রাম সংগ্রহ করতে এবং বাকি টাকা স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ প্রক্রিয়ার জন্য। প্রস্তাবে দুটি সংস্থাকে মিলিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-এর পুনরুজ্জীবনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের পরেই টেলিকম দফরের এই উদ্যোগ। এর আগে ক্যাবিনেটের তরফ থেকে টেলিকম দফতরকে বলা হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে। এছাড়াও অর্থমন্ত্রক যেসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, তাতেও উত্তর দিতে বলা হয়েছিল টেলিকম মন্ত্রককে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্যাকেজ হল ৭৪ হাজার কোটির। এর মধ্যে ২২ হাজার কোটি খরচ হবে ফোর জি স্পেকট্রামের জন্যয। যার মধ্যে ১৬ হাজার কোটি বিএসএনএল এবং ৬ হাজার কোটি এমটিএনএল-এর জন্য। বাকি টাকা দেওয়া হবে স্বেচ্ছা অবসরগ্রহণ প্রক্রিয়ার জন্য। যদিও পরপর ১০ বছর লোকসানে চলা সংস্থায় টাকা ঢালার ব্যাপারে আগে আপত্তি করেছিল অর্থমন্ত্রক।
বিএসএনএল-এর কর্মী সংখ্যা প্রায় ১.৭৬ লক্ষ। যাঁদের মাসিক বেতনের পরিমাণ ৮৫০ কোটি টাকা। সোমবার বিএসএনএল-এর চেয়ারম্যান বলেছিলেন পুনরুজ্জীবনের প্যাকেজ একমাসের মধ্যেই বের হয়ে যাবে। মাসে বিএসএনএল-এর আয় হয় ১৬০০ কোটি টাকা। যার বেশিরভাগটাই পরিচালনা এবং নানা বিধিবদ্ধ খরচেই ব্যয় হয়ে যায়। ২০১৮-১৯ সালে বিএসএনএল-এর ক্ষতির পরিমাণ ১৩,৮০৪ কোটি টাকা।