পাকিস্তানের পাঠানো চিনা ড্রোন সংহারে বিএসএফ সাজছে নয়া সমরসজ্জায়! সীমান্তে কীসের প্রস্তুতি
পাকিস্তানের পাঠানো চিনা ড্রোন সংহারে বিএসএফ সাজছে নয়া সমরসজ্জায়! সীমান্তে কীসের প্রস্তুতি
গত বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথমের দিকে পাঞ্জাবের পাকিস্তান সীমান্তবর্তী গ্রামে একের পর এক ড্রোন আসতে শুরু করে। বহু ড্রোনেই ছিল অস্ত্র। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স আরও সজাগ হতে থাকে ড্রোন ঘিরে। এরপর এক বছর যেতে না যেতেই বিএসএফ নিজের মতো করে সেজে উঠতে শুরু করেছে এই সমস্ত ড্রোন মোকাবিলায়।
বিএসএফএর সমরসজ্জা!
সিবিআইয়ের প্রাক্কন কর্তা রাকেশ আস্থানা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের ডিরেক্টর জেনারেলের পদে বসতেই সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়ে ফেললেন। সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তিনি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে শুরু করা হচ্ছে বিএসএফএর অন্দরে।
কোন কোন সমরাস্ত্র ময়দানে নামবে?
জানা গিয়েছে, অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেমকে সীমান্তে আরও পোক্ত করার বার্তা দিয়েছেন আস্থানা। ফলে ৪৩৬ টি ছো ও অতি ক্ষুদ্র ড্রোন এবার বিএসেফ এর সঙ্গে সীমান্ত নজরদারিতে মোতায়েন থাকবে। ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব ও কাশ্মীর সীমান্তে ভারত নিজের অ্যান্টিড্রোন সিস্টেমের সফল পরীক্ষা করেছে।
সীমান্তে আঁটোসাটো নিরাপত্তা
৮৮ কোটি টাকা খরচে গোটা ভারতের বিবিন্ন সীমান্তে নিরাপত্তা বেষ্টনী আঁটোসাটো করছে বিএসএফ। ১৯২৩ কিলোমিটারে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সীমান্তে এই মুহূর্তে পাহারা দিচ্ছেন বিএশএফএর জওয়ানরা। এবার সেখানে আরও সেন্সর মেশিন বসছে। বসছে বেশি সংখ্যক সিসিটিভি। বহু প্রত্যন্ত জায়গায় থাকছে ১৫০০ টি পোস্ট।
চিনা ড্রোন ও আরও পদক্ষেপ
সীমান্তে র পরিস্থিতি রেইকি করতে একাধিক ড্রোন নজরদারিতে বিএসএফ এবার জোর দিতে চলেছে বলে খবর। উল্লেখ্য, পাঞ্জাব সীমান্তে গতবছর খালিস্তানি আন্দোলনের ঈগুন অল্প অল্প করে ছড়াতে শুরু করে। ঠিক কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পরই পাঞ্জাবকে উস্কানি দেয় পাকিস্তান। এমনকি চিনের তৈরি ড্রোন নিয়ে তারা ভারতের সীমান্ত প্রদেশে অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা করেছে বলেও খবর। এই সবের নেপথ্যে ছিল খালিস্তানি আন্দোলনকে উস্কানি। এবার তা সমূলে উটপাটিত করতে সীমান্তে বিএসএফ চেষ্টা চালাচ্ছে।
ফের মমতার প্রশাসনকে আক্রমণ! রাজনীতির খাঁচায় বন্দি পুলিশ ও প্রশাসন, খোঁচা ধনখড়ের