পাক সেনার চোখে চোখ রেখেই ৩০০ জঙ্গির অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিল বিএসএফ
পাক সেনার চোখে চোখ রেখেই ৩০০ জঙ্গির অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিল বিএসএফ
ফের জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখে বড় নজির গড়ল ভারতীয় সেনা। ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে পাক লঞ্চপ্যাডে কমপক্ষে ৩০০-র বেশি জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ওত পেতে বসেছিল বলে রবিবার জানান বিএসএফ-র ইন্সপেক্টর জেনারেল রাজেশ মিশ্র। তবে তাদের বিএসএফ জওয়ানের তৎপরতায় তাদের সকলকেই ঠেকানো সম্ভব হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সক্রিয়তা বাড়ছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সব জঙ্গি লঞ্চপ্যাডেই
সূত্রের খবর, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সব জঙ্গি লঞ্চপ্যাডই এখন সক্রিয় রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কাশ্মীরের প্রবল তুষাঢ়পাতের আগেই ভারতে ঢুকতে জঙ্গিরা মরিয়া হয়ে রয়েছে বলেও সেনা সূত্রে খবর। কারণ একবার তুষাঢ়পাত শুরু হলে কাশ্মীরের পার্বত্য এলাকার বন্ধু পথে হাঁটা চলা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর সেই সময় সেনা বেষ্টনি ভেদ করে ভারতের মাটিতে পা রাখা কার্যত অলীক স্বপ্নেরই সমান।
১৩ নভেম্বর বিনা প্ররোচনায় হামলা পাক সেনার
বর্তমানে আরও বেশি সংখ্যাক জঙ্গি অনুপ্রবেশে প্রত্যক্ষ ভাবে মদত দিচ্ছে পাক সেনাও। ভারতীয় সেনার নজর ঘোরাতে বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি। এমনকী ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়েও হামলা চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ১৩ নভেম্বর বিনা প্ররোচনায় কাশ্মীরের বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তানি সেনা। যাতে মারা যান হরধনচন্দ্র রায়, সতাই ভূষণ রামেশরাও, সুবোধ ঘোষের মতো সেনা জওয়ানেরা।
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে
এদিকে ১৩ তারিখের হামলাতেই প্রাণ যায় বিএসএফের সাব ইনস্পেক্টর রাকেশ ডোভালও। যদিও পাল্টা প্রত্যাঘাত হানতে দেখা যায় ভারতীয় সেনাকেও। এদিকে রবিবারই নিহত সেনা জওয়ানদের শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় শ্রীনগরে। এদিকে একই চিত্র ধরা পড়ছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই। যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতেও। ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে একাধিক বাড়ি। মারাও গেছেন বেশ কিছু সাধারণ নাগরিক।
উরি ও গুরেজ সেক্টরে হামলা
প্রবল শীতের আগেই জঙ্গি অনুপ্রবেশের কাজ সেরে রাখতেই এই অপচেষ্টা করছে পাকিস্তান এমনটাই দাবি বিএসএফের আইজি রাজেশ মিশ্রর। এদিকে মূলত উরি সেক্টর ও গুরেজ সেক্টরকে কেন্দ্র করেই হামলার ধার বাড়াচ্ছে পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দিতে সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছে ভারতীয় সেনাও। এদিকে সংঘর্ষবিরত চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তাতে যে বিশেষ কর্ণপাত করছে না ইমরান প্রশাসন তা তাদের কর্মকান্ডেই পরিষ্কার।
অধীরকে ভাইফোঁটা দিয়ে পুত্রহারা মায়ের বার্তা, ২০২১-এ মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই