মদ্যপ হলে কেন জওয়ান তেজ বাহাদুরকে সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিয়োগ? উঠছে প্রশ্ন
সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুরের ভিডিও এই মুহুর্তে সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সারা দেশেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। ভিডিও পোস্ট করবার পরই তাঁর বিরুদ্ধে মদ্যপ থাকার পাল্টা অভিযোগ তোলে বিএসএফই।
নয়াদিল্লি, ১১ জানুয়ারি : সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুরের ভিডিও এই মুহুর্তে সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সারা দেশেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। ভিডিও পোস্ট করবার পরই তাঁর বিরুদ্ধে মদ্যপ থাকার পাল্ট অভিযোগ তোলে বিএসএফই।["একটা পোড়া রুটি, এক গ্লাস চা, ক্যাম্পে খাবার এমনটাই", বিএসএফ জওয়ানের অভিযোগের ভিডিও ভাইরাল]
আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তিনি যদি সত্যিই কর্তব্যরত অবস্থায় মদ্য়প থাকেন তাহলে কেন সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাঁর মতো জওয়ানকে নিয়োজিত করা হয়েছিল? বিএসএফের তরফ থেকে তাঁর সম্পর্কে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়, তাতে তাঁর মানসিক সমস্যার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। বিএসএফের তরফে জানানো হয়, ২০১০ সালে জওয়ান তেজ বাহাদুরের কোর্ট মার্শালও হয়। তাঁর ঊর্ধ্বতনের কপালে বন্দুক ঠেকানোর দায়ে তাঁকে দু মাসের জন্য বন্দিও করে রাখা হয়।[অর্ধেক দামে রেশনের সামগ্রী বেচে দেন বিএসএফের ক্যাম্প অফিসাররা!, অভিযোগ এক সেনারই]
একটি ভিডিওতে সেনা ক্যাম্পে যে খাবার দেওয়া হয় তার মান খুব খারাপ ও কম পরিমাণ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। অভিযোগের ভিডিও পোস্ট করেন সোস্যাল মিডিয়াতেও।
এছাড়াও অভিযোগ তোলেন যে পরিমাণ জিনিস সেনা জওয়ানদের দেওয়ার কথা তা অন্যায়ভাবে সেনা উপর মহলের কর্তারা বাইরে বিক্রি করে দেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে বসানো হয় তদন্ত কমিটি। বিএসএফের তরফ থেকে তাঁর সম্পর্কে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়, তাতে তাঁর মানসিক সমস্যার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। যদিও তাতে বিতর্ক আরও উসকে উঠেছে।