পাঞ্জাবে পাক-সীমান্তের কাছে বিএসএফ-এর হানা! মিলল একে-৪৭ সহ প্রচুর অত্যাধুনিক অস্ত্র
সীমান্ত থেকে অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার করল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানরা। পঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলার ভারত-পাকিস্তান বর্ডারের কাছে একটি মাঠ থেকে উদ্ধার হযেছে অস্ত্রগুলো। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একে-৪৭ এবং দুটো এম-১৬ রাইফেল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফিরোজপুরের কাছে হানা
এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফিরোজপুরের কাছে হানা দেয় বিএসএফ-এর একটি দল। আজ সকাল সাতটা নাগাদ তল্লাশি অভিযান চলাকালীন অস্ত্র ও গোলাবারুদ ভরতি একটি ব্যাগ খুঁজে পায় জওয়ানরা। ব্যাগটির মধ্যে ছিল ৩টি একে-৪৭, ২টি এম-১৬ রাইফেলের চারটি ম্যাগাজিন এবং ৫৭ রাউন্ড গুলি, দুটি পিস্তলের সঙ্গে চারটি ম্যাগাজিন ও ২০ রাউন্ড গুলি।
সীমান্তে পাক মদতে জঙ্গি কার্যকলাপ
বেশকিছুদিন ধরেই সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে আসছিল দিল্লি। যদিও সেই দাবিকে কখনওই মেনে নেয়নি ইসলামাবাদ। উল্টে ভারতীয় সেনা বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছিল ইমরান খান প্রশাসন। কিন্তু সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং পাকিস্তানের জঙ্গিদের মদতের বিষয়টি আরও একবার সামনে চলে এল এই ঘটনায়।
গতমাসে পাঞ্জাবে নিকেশ হয় ৫ অনুপ্রবেশকারী
এর আগে ২২ অগাস্ট পাঞ্জাবের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাঁচ অনুপ্রবেশকারীকে গুলি করে মারে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পাঞ্জাবের তরণ তরণ জেলার খেমকরণ সীমান্তে এই পাঁচজনকে কাঁটাতার পেরোতে দেখতে পায় বিএসএফ। তারপরই এই অনুপ্রবেশকারীদের গুলি করে মারে বিএসএফ জওয়ানরা।
সব ঘটনার তদন্ত চলছে
এই অনুপ্রবেশকারীরা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি বিএসএফ। কী উদ্দেশ্যে অনুপ্রবেশ, তাও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও বড়সড় নাশকতার ছক ছিল কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছিল। সেই তদন্ত এখনও চলেছে বলেই খবর। তারই মধ্যে এত বিপুল অস্ত্র উদ্ধার ঘিরে পাঞ্জাবে ছড়িয়েছে বিশাল চাঞ্চল্য।
দোহায় শুরু তালিবান-আফগান শান্তি আলোচনা, সম্মেলনে যোগ দিয়ে যা বললেন এস জয়শঙ্কর