সীমান্তে লুকিয়ে ৩০০ অনুপ্রবেশকারী, কাশ্মীরে বড়সড় হামলার ছক পাকিস্তানের
লাইন অফ কন্ট্রোলে ভারতীয় সেনার লঞ্চিং প্য়াডের কাছে জঙ্গিদের আনাগোনা এখনও বন্ধ হয়নি৷ সোমবার এমনই জানালেন বিএসএফ-এর অ্য়াডিশনাল ডিরেক্টর জেনেরাল সুরিন্দর জেনারেল৷ তবে, সীমান্তের ওপার থেকে কোনওরকম হামলা হলে তার জবাব দেওয়ার জন্য়ও ভারতীয় জওয়ানরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি৷

নিয়ন্ত্রণরেখায় তুষারপাতের পূর্বাভাস
শ্রীনগরে বিএসএফ-এর হেড কোয়ার্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নভেম্বর মাসে নিয়ন্ত্রণরেখায় তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, সেই সুযোগে সেখান দিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে বলে মনে করছেন সেনা আধিকারিক৷

৩০০ জঙ্গি পাকিস্তানের লঞ্চ প্যাডে রয়েছে
লাইন অফ কন্ট্রোলের ওপারে ২৫০ থেকে ৩০০ জঙ্গি পাকিস্তানের লঞ্চ প্য়াডে রয়েছে৷ তুষারপাতের ঠিক আগে সেই জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে৷ তিনি এও বলেন, ইতিমধ্য়ে ২৫ থেকে ৩০ জন জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে৷ ২০১৯ সালে এই সংখ্য়াটাই ছিল প্রায় ১৪০।

মাচিল সেক্টরে সেনা জঙ্গি সংঘর্ষে
অন্য়দিকে মাচিল সেক্টরে সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ নিয়ে তিনি জানান, গত ৭ ও ৮ নভেম্বর রাতে সেনার পেট্রোলিংয়ের পর সীমান্তে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে৷ সেই সময় কনস্টেবল সুদীপ এবং কনস্টেবল আবদুলের নেতৃত্বে একটি দল সেখানে পৌঁছায়৷ সেখানে গেলে জঙ্গিদের সঙ্গে তাঁদের গুলির লড়াই শুরু হয়৷

গুলির লড়াইতে শহিদ জওয়ান
গুলির লড়াইয়ের সময়ই কনস্টেবল সুদীপ গুরুতর জখম হন৷ পরে সেই খতের কারণেই শহিদ হন কনস্টেবল সুদীপ৷ তিনি ত্রিপুরার আগরতলার বাসিন্দা৷ তাঁর পরিবারে দুই মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন৷ পরেরদিন ভারতীয় সেনা আবারও সেখানে হানা দেয় এবং দুই জঙ্গিকে নিকেষ করে৷ একই সঙ্গে ক্য়াপ্টেন আশুতোষ কুমার ও দুই জওয়ান শহিদ হন৷ ওই এলাকায় এখনও কয়েকশো জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন বিএসএফ-এর অ্য়াডিশনাল ডিরেক্টর জেনেরাল।

হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে চিনের 'সাহায্যে' বাইডেনকে ফ্যাসাদে ফেলবেন ট্রাম্প!