
দায়সারা কাজ নিয়ে প্রশ্ন, ১৪০ বছরের পুরনো ব্রিজ সারাই হয়েছিল মাত্র ২ কোটিতেই
১৪০ বছরের পুরনো ব্রিজ। আর তা সারাতে খরচ হয়েছিল মাত্র ২ কোটি টাকা। খোঁজ মিলছে যে এই ব্রিজ সারানোর পরেও সমস্ত নিয়ম কানুন ভাঙা হয়েছিল। কিচ্ছুটি মানা হয়নি স্রেফ টিকিট বিক্রির জন্য। ফল হয়েছে ভয়ঙ্কর। অথচ এটি যখন সারানো হয় তখন বলা হয়েছিল এই ব্রিজ এখন আর আগামী সাত থেকে ১০ বছর হাত দিতে হবে না। মানুষ দারুণ ভাবে এর মজা নিতে পারবেন।

মোরাবি ব্রিজ
সাত মাস ধরে কাজের পর মোরাবি ব্রিজ খুলে যায় ২৪ অক্টোবর। তার আগে এই প্রেস কনফারেন্সে এই কথা বলা হয়েছিল। সেই সময় তিনি বলেছিল ব্রিজ সারাতে খরচ হয়েছে ২ কোটি টাকা। এও বলা হয়েছিল যে মানুষ ব্রিজের উপর অত্যাচার না করলে ১৫ বছরেও কোনও সমস্যা হবে না। ঘটনা একা যে কে সেই।

পুরনো ব্রিজ
সেই সময় বলা হয়েছিল ব্রিজ তৈরি হয়েছিল বহু দিন আগে। কাঠের পাটাতন ছিল আর বিম ছিল। আর বাকি ফাঁকা। সেই সময় বলা হয়েছিল যে, "যারা বড় দলে আসবেন তাঁদের জন্য টিকিটে ছাড় দেওয়া হবে। টিকিটের দাম ছিল জনপ্রতি ১৭ টাকা। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এমনটাই জানিয়েছিল। কর্তৃপক্ষ এও বলে যে তাঁদের মনে নেই পুরোপুরি এগ্রিমেন্ট কী হয়েছিল তবে। প্রত্যেক বছর টিকিটের দাম একটু করে বাড়ানো হবে তা বলা হয়েছিল।
তথ্য বলছে যে, সময়ের আগেই এই ব্রিজ খুলে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল অন্তত আট থেকে ১২ মাস এই ব্রিজ বন্ধ করতে হবে সারাইয়ের পর। অথচ তা অত্যন্ত দ্রুত খুলে দেওয়া হয়। কোনও ফিটনেস টেস্টও নেওয়া হয়নি।

দুর্ঘটনা
যে সময়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটে সেই সময়ে একসঙ্গে ৫০০ জন দাঁড়িয়েছিলেন। আর সেই সময়েই ব্রিজের তার ছিঁড়ে যায়। শয়ে শয়ে মানুষ পড়ে যায় জলে। নিয়ম অনুযায়ী ১২৫ জন মানুষ একবারে চড়তে পারেন ওই ব্রিজে। এর বেশি ভার তা বহন করতে পারবে না। আর সেখানে ছিল ৫০০ জন। ফল যা হয়েছে, তা ভয়ঙ্কর। মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত ১৪০ জনের।

সতর্ক রাজ্য সরকার
এদিকে গুজরাতে মোরবির ঘটনার পর আগেই সতর্ক রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের সব ঝুলন্ত ব্রিজের রিপোর্ট তলব করল নবান্ন। উত্তর বঙ্গে বেশ কয়েকটি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। জলপাইগুড়ি, নবান্ন, দার্জিলিং জেলায় বেশ কয়েকটি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। সেগুলির অবস্থা কেমন রয়েছে কীভাবে হচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণ তা জনতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগামীকালের মধ্যেই প্রত্যেক জেলার পূর্ত দফতরের ইঞ্জিিনয়ারদের রিপোর্ট দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দায়সারা কাজ নিয়ে প্রশ্ন, ১৪০ বছরের পুরনো ব্রিজ সারাই হয়েছিল মাত্র ২ কোটিতেই