বিয়ের সময় পরচুলা খুলে বেরিয়ে পড়ল টাক, কী করলেন কনে! হার মানবে সিনেমাও
বিয়ে চলছিল ধুমধাম করে। আচমকাই বাধল গোল। আর বরের পাগড়ি গেল খুলে। মাথা থেকে খসে পড়ল পরচুলাও। ব্যস, কে আটকায় কনেকে! উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার এই ঘটনা সিনেমার চিত্রনাট্যকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।
বিয়ে চলছিল ধুমধাম করে। আচমকাই বাধল গোল। আর বরের পাগড়ি গেল খুলে। মাথা থেকে খসে পড়ল পরচুলাও। ব্যস, কে আটকায় কনেকে! উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার এই ঘটনা সিনেমার চিত্রনাট্যকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। বিয়ের বাসরে এমন একটি উদ্ভট ঘটনা সামনে এসেছে, যা আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে বাস্তব নয়, দেখতে পাচ্ছেন সিনেমা।
আয়ুষ্মান খুরানার 'বালা' সিনেমার কথা নিশ্চয় মনে আছে আপনাদের। তা মনে থাকলেও মনে করিয়ে দেবে উত্তরপ্রদেশের ওই বিবাহ বাসরের ঘটনা প্রবাহ। ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় এমন একজন ব্যক্তির গল্প উপস্থাপন করা হয়েছিল, যার সঙ্গে বিস্তর মিল রয়েছে বাস্তবের এই ঘটনার। এদিনের ঘটনা সিনেমার থেকে কোনও অংশ কম নয়।
অকালে টাক পড়ায় বিয়ে হচ্ছে না। বিয়ের জন্য তাই পরচুলার আশ্রয় নিতে হয়েছে। ওই সিনেমায় বিয়ে করার জন্য কনের কাছ থেকে নিজের টাক লুকিয়ে রাখে বর। উন্নাওয়ের ওই বর আয়ুষ্মান খুরানার 'বালা' সিনেমার পথ অনুসরণ করেছিলেন। সিনেমায় প্রায় যবনিকা টেনে এনেছিলেন, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তীরে এসে তরী ডোবে।
আর এখানেও বিয়ের মণ্ডপে ফাঁস হয় টাকের কথা। মণ্ডপের মাঝেই বরের পরচুলা খুলে যায়, বরের টাকের কথা জানতে পেরে যায় সকলে। এরপর কনে তাঁকে বিয়ে করতে চায়নি আর। তখন বিয়ের মূল অনুষ্ঠান শুরুর অপেক্ষা। তখনই সব পরিকল্পনা জলে ধুয়ে গেল। ভেঙে গেল বিয়ে। বরের মাথায় টাক দেখে রাগান্বিত কনে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
কিন্তু এত পরিপাটি করে সাজানো চিত্রনাট্য কী করে ভেঙে গেল এক লহমায়? আসলে সবই অদৃষ্ট। বর মণ্ডপে ঢোকার আগে মাথা ঘুরে পড়ে যান। অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন খুলে যায় তাঁর পরচুলা। সবার চোখের সামনে হিপ্পি করা কালো কুচকুচে চুলের বরের টাক বেরিয়ে পড়ল। ফাঁস হয়ে গেল পর্দা।
নিজের টাক নিয়ে কনের পরিবারকে অন্ধকারে রেখেছিলেন বর। কনে যখনই জানল যে বরের টাক পড়ে গিয়েছে। তিনি আর বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে রাজি হননি। পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা অনেক চেষ্টা করেও কনেকে রাজি করাতে পারেননি। কনে তার সিদ্ধান্ত অটল ছিলেন। এরপর বিষয়টি স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও পুলিশের হস্তক্ষেপেও অনড় থাকেন কনে।
পরবর্তীকালে, একটি পঞ্চায়েত সভা ডাকা হয়েছিল এবং সেখানে মেয়েটির পরিবার দাবি করেছিল যে তারা বিয়েতে ৫.৬৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। বরের পক্ষ তাদের দাবিতে রাজি হয় এবং কনের বাবাকে টাকা ফেরত দেয়। কনের মামা বলেন, বরের পরিবারের এই টাকের কথা লুকানো উচিত হয়নি। তারা যদি বরের টাকের কথা আমাদের বলত, তাহলে আমরা কনেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে পারতাম। মিথ্যার ভিত্তিতে নতুন জীবন শুরু করতে চায়নি কনে।