বেড়া ভাঙলেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দিন, কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে অমানবিক নির্দেশ মহকুমা শাসকের
বেড়া ভাঙলেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দিন, কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে অমানবিক নির্দেশ মহকুমা শাসকের
ফের বাড়ছে কৃষক আন্দোলেনর তেজ। এদিকে হরিয়ানার কারনালে এবার আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর আমানবিক ভাবে লাঠিচার্জের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরেই ওই দিন ওই এলাকায় নতুন করে শুরু হয় কৃষকদের বিক্ষোভ। তখনই শনিবার দুপুরে লাঠিচার্জ করে প্রতিবাদী কৃষকদের হটিয়ে দিতে দেখা যায় হরিয়ানা পুলিশকে। এদিকে এদিকে ওই ঘটনার সময়েই আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করার আগে মহকুমা শাসকের একটি ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।
|
কোন ভিডিও থেকে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে কারনালের মহকুমা শাসক আয়ুষ সিনহা তার সহকর্মীদরে বলছেন, 'আপনাদের সকলকেই একটা জিনিস স্পষ্ট করে বলছি। যে কৃষকেরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করবেন, তিনি যত বড় নেতাই হন না কেন তাকে কোনও ভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না। ওই সময় কোনও নির্দেশের অপেক্ষা করার দরকার নেই। বেষ্টনী ভাঙলেই নিজের হাতের লাঠি তুলে ওদের মাথা ফাটিয়ে দেবেন।'
শুরু জোরদার বিতর্ক
ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিকে পুলিশের লাঠিতার্জের নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। কখনও শরীরের উপরের অংশে সাধারণত আঘাত করা যায় না। এদিকেকে গতকালের লাঠিচার্জে প্রচুর কৃষক আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এরপরেই পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে কারনালে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনরত চাষিরা। এমনকী বাস্তারা টোল প্লাজার কাছেও পুলিশ-কৃষক খণ্ডযুদ্ধ বাঁধতে দেখা যায়।
প্রতিবাদী টুইট রাহুলের
অন্যদিকে কৃষকদের উপর লাঠিচার্জের নিন্দা করেছেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। পাশাপাশি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে টুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেই সঙ্গে পুলিশের লাঠিচার্জের পর রক্তস্নাত এক কৃষকের একটি ছবিও শেয়ার করেন তিনি। টুইটারে রাহুল লেখেন "আবারও রক্তপাত হল কৃষকদের। লজ্জায় নত হল দেশের মাথা।"
আসল ঘটনার সূত্রপাত কোথায় ?
এদিকে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর এবং রাজ্য বিজেপি-র প্রধান ওমপ্রকাশ ধনখড়-সহ দলের শীর্ষ নেতাদের একটি বৈঠক ছিল কারনালে। সেখানেই থেকেই মূলত আগুনে বিক্ষোভ অন্যত্র ছড়ায়। এদিকে কৃষি আইন ও বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হতে থাকেন কৃষকেরা। অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়কও। লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এই ঘটনায় ১০ জনের বেশি কৃষক গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।