গ্রাহকদের জরিমানাতেই ব্যাঙ্কের রোজগার ৫০০০ কোটি, সবার আগে এসবিআই
ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় না রাখার কারণে গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০১৭-১৮ সালে ৫০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এক্ষেত্রে সবার আগে আছে এসবিআই।
অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখতে না পারলে প্রায় প্রতিটি ব্যাঙ্কই গ্রাহকদের কিছু টাকা জরিমানা হিসেবে কেটে নেয়। ব্যাঙ্কিং তথ্য অনুযায়ী ২১ টি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক ও ৩ টি বৃহৎ প্রাইভেট ব্যাঙ্ক ২০১৭-১৮ সালে এভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোট ৫০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। আর এব্যাপারে বাকিদের অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক এসবিআই।
এই বাবদ মোট ২৪ টি ব্যাঙ্কের মিলিত সংগৃহীত অর্থের প্রায় অর্ধেকই তুলেছে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে এই ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের কাছ থেকে অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখতে পারার কারণে ২,৪৩৩.৮৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। আগেই জানা গিয়েছিল ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে স্টেট ব্যাঙ্কের ৬,৫৪৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এই বাড়তি রোজগার না করতে পারলে ব্যাঙ্কটির ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত।
এসবিআই-এর
পরেই
এই
তালিকায়
আছে
এইচডিএফসি
ব্যাঙ্ক।
২০১৭-১৮
আর্থিক
বছরে
এই
বাবদ
তাদের
সংগৃহীত
অর্থের
পরিমাণ
৫৯০.৮৪
কোটি
টাকা।
এই
ক্ষেত্রে
এইচডিএফসি-র
রোজগার
অবশ্য
কমেছে।
২০১৬-১৭
আর্থিক
বছরে
তাদের
সংগৃহীত
অর্থের
পরিমাণ
ছিল
৫৩০.১২
কোটি
টাকা।
এইচডিএফসি
ব্যাঙ্কের
পর
আছে
অ্যাক্সিস
ব্যাঙ্ক
ও
আইসিআইসিআই
ব্যআঙ্ক।
গত
আর্থিক
বছরে
মিনিমাম
ব্যালেন্স
না
রাখতে
পাওয়ার
জন্য
পেনাল্টি
বাবদ
তাদের
সংগ্রহ
যথাক্রমে
৫৩০.১২
কোটি
ও
২১৭.৬
কোটি
টাকা।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখতে না পারার জন্য জরিমানা করা অবশ্য ২০১২ সালে বন্ধ করে দিয়েছিল এসবিআই। কিন্তু ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল থেকে ফের তা চালু করা হয়। সেসময় এই জরিমানার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বেশি বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাই ওই বছরেরই ১ অক্টোবর তারিখ থেকে জরিমানার পরিমাণ কমানো হয়। বেসিক সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপোসিট স্কিমে বা প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার মতো কয়েকটি স্কিমের আওতায় থাকা অ্যাকাউন্ট ছাড়া বাকি প্রায় প্রত্যেক ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টেই একটি সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্থ বজায় রাখতে হয়।