মুজফ্ফরপুর হোমকাণ্ডে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ব্রজেশ ঠাকুরের, রায় দিল দিল্লি কোর্ট
বিহারের মুজফ্ফরপুর হোমে আবাসিক মেয়েদের যৌন নিগ্রহের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল মূল দোষী ব্রজেশ ঠাকুরের। মঙ্গলবার দিল্লি কোর্ট এই রায় শোনায়। এর আগেই দিল্লি কোর্টে ব্রজেশ ঠাকুর সহ ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সৌরভ কুলশ্রেষ্ঠা জানান যে ব্রজেশ ঠাকুর তার বাকি জীবনটা জেলের মধ্যেই অতিবাহিত করবে। মুজফ্ফরপুরের হোমে একাধিক কিশোরীকে যৌন ও শারীরিক নিগ্রহের কাণ্ডের মূল দোষী হল ব্রজেশ। ২০১৮ সালের ২৬ মে টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্স (টিআইএসএস) বিহার সরকারের কাছে এক রিপোর্ট পেশ করে, যে রিপোর্টে উল্লেখ ছিল যে আবাসিক হোমের কিশোরীদের যৌন হেনস্থা করা হয়। এরপরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ২০ জানুয়ারি দিল্লি কোর্টের পক্ষ থেকে ব্রজেশ ঠাকুরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
বিহার পিপল’স পার্টির পক্ষ থেকে ভোটে লড়ার টিকিট পেয়েও জয়ী হতে পারেনি ব্রজেশ। তার ওপর ভারতীয় দণ্ডবিধির বহু ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১,৫৪৬ পাতার রায়ে আদালত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০–বি, ৩২৪, ৩২৩, পকসো আইনের ২১ ও ৭৫ ধারায় ব্রজেশ ঠাকুরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ব্রজেশ ছাড়াও আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।